আর মাত্র ১ দিন পরই ঈদুল আযহা। অন্যান্য বছর চাঁদ দেখার পর কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠলেও এ বছর কয়রার গরুর হাটের চিত্র ছিল অন্য রকম। ২/১ দিন আগের পুরু হাট যেন ফাঁকা ছিল। চাহিদা মত পশু না উঠায় সরগরম হয়ে উঠেনি কয়রার গরু ছাগলের বাজার। তবে মঙ্গলবার পশুর হাঁট গুলো গরু-ছাগলে ভরে উঠেছে বলে জানায় ইজারাদাররা। আর এতে করেও ঈদের ১ দিন বাকি থাকতে জমজমাট হয়ে উঠে কয়রার পশুরহাট। উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, কয়রায় ২ টি বৈধ পশুর হাট রয়েছে। একটি দেউলিয়া বাজার ও অপরটি বামিয়া জিআইবি ক্লাব মাঠ। ঈদের ৩/৪ দিন আগেও কোরবানির পশু বিক্রি হাট জমে উঠেনি। বাজারেও পর্যাপ্ত সরবারাহ ছিলনা গরু ছাগলের। তবে ঈদের পূর্ব মহুর্তে ক্রেতাদের সমাগম বুদ্ধিতে জমজমাট হয়ে উঠছে কয়রার পশুর হাট, এমনটিই প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের। ঈদের ৩/৪ দিন আগে পশুর হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতা সমাগম থাকলেও গরু বিক্রির সংখ্যা ছিল খুবই কম। বাজারে ক্রেতা আসছে, তবে দেখে চলে যাচ্ছেন। এ ছাড়া এবার কোরবানির গরুর দাম অন্যবারের তুলনায় প্রচন্ড চড়া বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। কয়রার ১নং কয়রা গ্রামের আঃ হালিম খোকন বলেন, আগে কিনলে গরু রাখব কোথায়? আর সব চেয়ে বড় কথা এবার গ্রামে অধিকাংশ গরুর গায়ে পক্স উঠছে এজন্য কিনে রাখাও রিক্স। তাই বিগত দিনে গরু দেখেই চলে গেছি। ঈদের দু’ এক দিন আগেই গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছি। তবে এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি হাঁকা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। দেউলিয়া বাজারে ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম বলেন, গ্রামে বেশিরভাগ বাড়ীতে গরুর গায়ে গুটি গুটি পক্স উঠছে, আর যে গুলো ভাল আছে সে গুলো বেশি দাম চাচ্ছে। এক কথায় সব গরুই এবার অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি দামে কেনা। ফলে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। গরু ব্যবসায়ী মোতালেব মিয়া বলেন, পাশ্ববর্তি তালা, কপিলমুনি, আঠারমাইল, জেঠুয়া, চাঁদখালী এসব জায়গার ব্যবসায়ীরা কয়রার বাজারে গরু ছাগল বিক্রি করতে নিয়ে এসেছে। এ সকল গরুর মধ্যে দেশী ছাড়া ভারতীয় গরুও রয়েছে। এসব গরুর দাম সর্বনিম্ম ৪০ হাজার থেকে সাড়ে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাঁকা হচ্ছে। শুধু গরুই নয়. উঠেছে ছাগল, ভেড়াও। তালার ব্যবসায়ী সেরাজুল ইসলাম ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন। আরও কয়েকটি গরু হাটে নিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন। তবে এখানে ২ লক্ষ টাকা দামের গরু আছে। কিন্তু সত্তর হাজারের নিচে গরু নেই। কপিলমুনি থেকে ১২ টি দেশীয় প্রজাতির গরু নিয়ে এসেছেন আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে গরু হাটে তুলেছি, কিন্তু ক্রেতাদের তেমন সাড়া পাচ্ছিলাম না। তবে শেষের দিকে ক্রেতাদের সমাগম বুদ্ধি পেয়েছে। সব গরু বিক্রি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। রেজাউল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন এই হাটের বেশিরভাগ ক্রেতারাই বিভিন্ন জায়গা হতে সবে মাত্র বাড়িতে এসেছে। আর বাড়ি এসেই পশু কিনছেন। উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার ডাঃ মুস্তাইন বিল্যাহ বলেন,কয়রার গরু ছাগলের হাটে পযাপ্ত গরু ছাগল, ভেড়া, মহিষ রয়েছে। পর্যায় ক্রমে সেগুলো বিক্রি হবে। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএমএস দোহা (বিপিএম) বলেন, কয়রার পশুর হাটে আগত বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক টহল অব্যাহত রাখা হয়েছে।