চাঁদপুর শরিয়তপুর রুটের হরিণা ফেরীঘাটে পর্যাপ্ত ফেরী থাকা সত্ত্বেও গাড়ীর তেমন চাপ নেই। বর্তমানে পালাবদল করে ৭টি ফেরী চলাচল করলেও বেশিরভাগ সময়েই গাড়ীর জন্য ঘন্টার চাইতেও বেশি সময় ফেরীগুলো অপেক্ষমাণ রয়েছে। ২৭ জুন মঙ্গলবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিণা ফেরীঘাটের এজিএম(বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী।
সরজমিনে দেখা যায়, ঘাটে চলাচলকারী সবগুলো ফেরীই এখন কেটাইপ ফেরী। এগুলো হচ্ছে কলমী লতা, কুমারী, কাকলী, কেতকী, কিশোরী, কামিনী, কস্তুরী। এরমধ্যে রো রো ফেরীটি ডগে থাকায় ১২টি গাড়ী পরিবহনকারী কলমিলতা চলছে। আর বাকি ফেরীগুলো সর্বোচ্চ ৮টি গাড়ী পরিবহন করছে।
বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিণা ফেরীঘাটের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দিনে ৭শ’ থেকে ৮শ’ গাড়ী পরিবহনের ক্ষমতা থাকলেও ১শ’ থেকে ২শ’ গাড়ীও এখন ঘাটে হচ্ছেনা। এরমধ্যে ঈদকে কেন্দ্র করে বড় মালবাহী ট্রাকগুলো ঈদের আগে ৩ দিন ও পরে ৩দিন করে মোট ৬ দিন বন্ধ থাকায় ঘাটে চাপ অনেকটাই কমেছে।
তথ্য মতে, গেলো ২৪ ঘন্টায় ১৭টি বাস ও ২২৩টি মোটরসাইকেল হরিণা ফেরীঘাট দিয়ে এখন পর্যন্ত পারাপার হয়েছে। এছাড়াও গরু বহনকারী আরও ১৫টি ট্রাকও পারাপার হয়।
মোটরসাইকেল আরোহীরা বলছেন, অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যেই আমরা ফেরীতে পারাপার হতে পারছি। বিশেষ করে বড় গাড়ী না থাকায় অনেকটা দ্রুত সময়েই এই ঈদযাত্রায় ফেরী পারাপারে স্বস্তি পাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিণা ফেরীঘাটের এজিএম(বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী বলেন, এখন আমাদের ফেরীঘাটে গাড়ীকে অপেক্ষমাণ থাকতে হচ্ছেনা। গাড়ী আসা মাত্রই ফেরী পূর্ণ হলে দ্রুত সময়ে গাড়ী পারাপার করা হচ্ছে। মূলত শরিয়তপুর সড়ক হতে খুবই কম গাড়ীই আসছে। যা যাচ্ছে তা চাঁদপুর হয়ে হরিণাঘাট দিয়েই যাচ্ছে। এতে রাজস্বও আদায় হচ্ছে তূলনামূলক কম। তবুও ঈদে নিরাপদ ফেরী পারাপারে আমাদের ফেরীগুলো ২৪ ঘন্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর প্রভাব পড়েছে এখানে।
পদ্মাসেতু যখন হয়নি তখন চাঁদপুর শরীয়তপুর ফেরি নৌ রুটে ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ ছিল ব্যাপক। ঘন্টার পর ঘন্টা এমনকি এক দুই দিন অপেক্ষা করে পণ্যবাহী ট্রাক গুলোকে সিরিয়াল নিয়ে মেঘনা নদীতে ফেরি পার হতো। এখন সেই দৃশ্য অনেকটাই অতীত স্মৃতি। এমন দিন যায় গাড়ির চেয়ে এখানে ফেরি বেশি।