যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা ৬৫০ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ঈদের বোনাস তুলতে পারেনি। ধার দেনা করে ঈদের কোরবানির পশু কিনছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিকরগাছা উপজেলায় এমপিওভুক্ত ২৭ টি মাদ্রাসায় প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত আছেন। ঝিকরগাছা সোনালী ব্যাংক থেকে তাদের বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। গত ২০ জুন বোনাসের অর্ডার জারি হলেও কতৃপক্ষের অবহেলায় মাদ্রাসার বোনাসের টাকা তুলতে পারেননি কেউই।
মনিরুজ্জামান নামের এক শিক্ষক বলেন, মাত্র ২৫ শতাংশ বোনাস পাই, যেটা দিয়ে কুরবানির পশু কেনার অসম্ভব। এবার ঈদের বোনাস তুলতে পারলাম না।
কবীর হোসেন নামের একজন শিক্ষক বলেন, (২৬ জুন) সোমবার বেলা তিনটার সময় ঝিকরগাছা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে গিয়েছি। তিনি বলেছেন, বোনাসের টাকা আসেনি।
ঝিকরগাছা সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে মাদ্রাসা সহ স্কুল এবং কলেজের বেতন বোনাস প্রদান করা হয়। কিন্তু শেষ কর্মদিবসে বোনাস প্রদান করায় বেশিরভাগ শিক্ষকই তাদের বোনাসের টাকা তুলতে পারেননি। বোনাসের টাকা না পাওয়ায় অনেকেই ধারদেনা করে কুরবানির করছেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে ঝিকরগাছা সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের মোবাইলে কয়েক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।
উল্লেখ্য ২০০৩ সালে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য মুল বেতনের ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ দুই ঈদে দু'টি বোনাস চালু করে তৎকালীন সরকার। বিগত ১৫ বছর ধরে এই বোনাস শতভাগে উন্নীত করতে শিক্ষক কর্মচারীরা দাবী জানিয়ে গেলেও বর্তমান সরকারের এই মেয়াদের শেষ ঈদেও সেই ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস প্রদান করায় শিক্ষকদের ক্ষোভ রয়েছে।