ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে এক বছরে প্রায় ২০০ কোটি ডলার দিয়েছিল মস্কো। এই অর্থের অপব্যবহার হয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। প্রিগোজিনের বিদ্রোহের পর মঙ্গলবার (২৭ জুন) এমন কথা বলেন পুতিন। খবর রয়টার্সের।
ক্রেমলিনে রুশ সেনাদের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন বলেছেন, তিনি সবসময়ই ওয়াগনার যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা করেছেন। তবে যেহেতু ‘রাষ্ট্রীয় কোষাগার’ থেকে গোষ্ঠীটির সম্পূর্ণ অর্থায়ন করা হয়েছে, তাই এ ক্ষেত্রে তদন্ত প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আশা করি এ ক্ষেত্রে কেউ কিছু চুরি করেনি, অথবা সামান্য করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই তদন্ত হবে।’ অবশ্য বক্তব্যের কোথাও সরাসরি প্রিগোজিনের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
সম্প্রতি রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বে বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ওয়াগনার গোষ্ঠী। এমন ঘোষণার পর ইউক্রেন ছেড়ে মস্কো অভিমুখে অভিযান শুরু করে তারা। তবে বিদ্রোহের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় অভিযান বাতিল করে মিনস্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন প্রিগোজিন।
পুতিন বলছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত এক বছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলার নিয়েছে ওয়াগনার গোষ্ঠী। এ ছাড়া রুশ সেনাদের কাছে কাছে খাবার সরবরাহ করতে আরও প্রায় ১০০ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছিল তাদের। তিনি জানান, সবসময়ই ওয়াগনারকে অর্থায়ন করা হয়েছে, তবে ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান পরিচালনার’ জন্য এই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। পুতিনের এমন বক্তব্য নিয়ে প্রিগোজিনের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।