দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের ফুলবাড়ীতে দুটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে রহিমা বেগম নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এই সময় ট্রাক-পিকআপসহ সাতটি যানবাহন খাদে পড়ে আটজন আহত হয়েছেন। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। বেলা সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে প্রায় ৬ঘণ্টা পর ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শনিবার ভোরে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে ফুলবাড়ী উপজেলার বিজিবি ক্যাম্প-সংলগ্ন ডাঙ্গাপাড়া মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রহিমা বেগম(৩৬) দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার আবদুল খালেকের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার ভোরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ওই মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি পিকআপ কাহারোলে যাওয়ার পথে ফুলবাড়ীর ডাঙ্গাপাড়া নামক স্থানে মোড় ঘোরানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি আমবাহী পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপের যাত্রী রহিমা বেগম নিহত হয়। এ সময় একই পরিবারের তিনজন আহত হন। তখন সংঘর্ষ এড়াতে আরও পাঁচটি পিকআপ, একটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি ট্রাকসহ সাতটি যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাকটি উল্টে যায় এবং একটি গাড়ি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে খুঁটি ভেঙে যায়। এতে ট্রাকের চালক ও হেলপারসহ আরও পাঁচজন আহত হন।আহতদের উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতদালে ভর্তি করা হয়।
ফুলবাড়ী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী মহাসড়কে গতিরোধক স্থাপনের দাবি জানায়। জেলা প্রশাসনসহ সড়ক ও জনপথের সঙ্গে কথা বলে গতিরোধক স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম এর সত্যা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দারা সড়ক অবরোধ করে গতিরোধক স্থাপনের দাবি জানালে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন গতিরোধক স্থাপনের আশ্বাসে এলাকাবাসীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলে ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।