নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ৫হাজার নেতা কর্মীকে সাথে নিয়ে দুপুরের খাবার খেলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শনিবার (১জুলাই) দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নির্মিত সুবিশাল প্যান্ডেলে বসে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুরের খাবার খেয়েছেন।
খাবার মেনুতে ছিল সাদা ভাত, খাসির মাংস, সবজি, ডাল ও সেমাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বসে খাবার খেতে পেরে নেতা কর্মীরা আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেছেন। অনেকে আবার আনন্দে চোখের পানি ফেলে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাংসা করে আল্লাহর কাছে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকে আওয়ামী লীগ করি। এভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছাকাছি যেতে পারিনি। আজ তাঁর সাথে এক সঙ্গে বসে দুপুরের খাবার খেলাম। এটা আমাদের জীবনের পরম পাওয়া।
তিনি আরো বলেন, এখানে কোন হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ নেই। আমরা সকলে মিলে একই প্যান্ডেলে বসে ঈদের খাবার খেলাম। এটা সত্যিই আনন্দের। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে একটি অসাম্প্রদায়িক দল এটি তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
একই ভাবে আনন্দ প্রকাশ করে চোখের পানি ফেলে দিয়ে কুশলা ইউনিয়নের বিরামের কান্দি গ্রামের বৃদ্ধ আবুল হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামী লীগ করি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছাকাছি গিয়ে এভাবে কোন দিন এক সঙ্গে বসে খেতে পারিনি। আজ এক সঙ্গে দুপুরের খাবার খেলাম। আল্লাহ যেন আমাদের প্রিয় নেত্রীকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসেন। এখানে তিঁনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রাঙ্গণে নিম, বকুল ও আমের তিনটি চারা রোপণ করেন। পরে তিনি নবনির্মিত কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুস্পুত্র সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহাজাহান খান এমপি, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাবুদ্দিন আজম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভা ও মধ্যাহ্নভোজ শেষে তিনি টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে কোটালীপাড়া ত্যাগ করেন। টুঙ্গিপাড়ায় তিনি রোববার (২জুন) স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করবেন।