কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর ও নিকলীতে ঈদকে ঘিরে পর্যটন শিল্পসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও জীবিকা নির্বাহীকারী লোকজনেরা কিছুটা হলেও খুশি। কারণ বর্ষা মৌসুম শুরু হলে হাওরে পানি কম। আর তাই তেমন পর্যটক আসে নি। কিন্তু এখন ঈদকে ঘিরে কিছুটা পর্যটক আসতে শুরু করেছেন। বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের পাটুলি ঘাটে প্রতিদিন উপচে পড়া পর্যটকের ভিড় ঈদের আগের দিন হতে শুরু করে রোববার পর্যন্ত পর্যটকেরা বৃষ্টিতে ভিজে নান্দনিক দৃশ্য দেখতে আসেন পরিবার পরিজন নিয়ে। এদিকে নিকলী উপজেলার বেড়িবাদ এলাকায় ২০০০ সাল থেকে শুরু করে বর্ষার প্রচন্ড ঢেউয়ের কবল থেকে রক্ষায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বেড়ি বাদ তৈরি করে একই সময় ভাঙন প্রবণ উপজেলার ছাতিরচর গ্রাম রক্ষায় রোপন করা হয় হাজার হাজার করচ গাছ। এই দৃষ্টি নন্দন বেড়িবাদ ভাসমান পানি সহিষ্ণু এবং সাগরের মত বর্ষার বৃস্তিত্ব জলরাশি এক অপরূপ ধারন করে। এই কারণেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটকরা দল বেধে শত শত মটর বাইক, প্রাইভেট কার, মাইক্রো বাসে করে পরিবার পরিজন নিয়ে বর্ষার এই মৌসুমে ছুটে আসেন। এইসব পর্যটকরা টায়ার, টিউব, জলকেলি, নৌকা ও স্পীড বোর্ডে দিঘন্ত বৃস্তত্ব জলরাশিতে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি বিস্তৃর্ন হাওরের করচ বনের শীতল ছায়ায় প্রিয়জনদের নিয়ে মেতে উঠেন। কোনো কোনো পর্যটক জল নৌকায় ঘুরে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। পর্যটক নিয়ে হাওরে ঘুরতে যাওয়ার ট্রলার মালিকগণ ও অনেকে নতুন নৌকা ও ট্রলার তৈরি করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে। নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ বলেন এখন বর্ষার ভরা মৌসুম। কিন্তু হাওরের পানি কম থাকায় পর্যটকরাও কম আসছেন। আসতে আসতে নিকলী হাওরে পর্যটন এলাকায় পর্যটক আসতে শুরু করেছেন। আমি আশাবাদী দ্রুত সময়ের মধ্যেই পর্যটকদের কোলাহলে ভরিয়ে উঠবে। তিনি বলেন, পর্যটকদের বহনকারী নৌকার ভাড়া আগের বছরের তুলনায় এই বার ও সেই ভাড়ায় নির্ধারিত থাকবে। নতুন বছরে নৌকার মালিকদের নিয়ে নির্ধারণ করা হবে। তবে এখন ও ভাড়া কমই রয়েছে।