বরিশাল জেলা আগৈলঝাড়া উপজেলা গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম টিটু তালুকদা ও ছাত্রলীগ কর্মী উপরে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাতুল ইসলাম শাহেদ বেপারীর নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে তাদের আহত করেছে। হামলার ঘটনায় পরস্পপ বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাতুল ইসলাম শাহেদ বেপারীর অভিযেগ চেয়ারম্যান তার বাড়ি ঢুকে তার ভাই-ভাবী ও মা-বোনকে মারধর করছে। স্থানীয়রা অহত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও আসিফ তালুকদারকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে।
আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া সরকারী শহিদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার সৌরভ মোল্লার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম টিটু তালুকদার ও ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ তালুকদার মটরসাইকেলে বাড়ি আফিরছিলেন। উপজেলার পূর্ব সুজনকাঠী এতিমখানার কাছে আসলে আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাতুল ইসলাম শাহেদ বেপারীর নেতৃত্বে ৪-৫ জনের একটি দল হামলা চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু তালুকদার ও ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ তালুকদার আহত হয়েছে।
এব্যাপারে গৈলা ইউনিয়ন পরিসদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম টিটু তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার সৌরভ মোল্লার বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার আমি আর আমার সাথে ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ তালুকদার মটরসাইকেলে বাড়ি আফিরছিলাম। আমার বাড়ির কাছে পূর্ব সুজনকাঠী এতিমখানার সামনে আসলে ছাত্রদল ক্যাটার রাতুল ইসলাম শাহেদ বেপারী ও তার সাথে থাকা লোকজন আমার উপর হামলা করে। এময় আমার সাথে থাকা আসিফ তালুকদারকে মারধর করে আহত করে। স্থানীয়রা ওই রাতেই আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এব্যাপারে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাতুল ইসলাম শাহেদ বেপারী সাংবাদিকদের বলেন, গৈলা ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু তালুকদার ও আসিফ তালুকদার শনিবার দিবাগত গভীর রাতে আমার বাড়ি ঢুকে আমার বড় ভাই সাকিল বেপারী ঢাকায় ব্যবসা করে ঈদের বাড়ি আসছে তাকে মার ধর করে। এরপরে ঘরে ঢুকে তার স্ত্রী (আমার ভাবী) পরী মনি বেগম, আমার মা শহিনা বেগম, বোন সুরাই ইসলাম মুন্নিকে মারধর করে আহত করে। তখন আমি আমার মা, বোন ও ভাবীকে রক্ষা করতে গেলে চেয়াম্যান আমাকেও মারধর করেছে। আমরা বিরোধী দল করি বলে আমরা কেউ হাসপাতালে ভর্তি হতে পারি নাই। আমার ভাই ও ভাবী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে (নাম বলা যাবেনা)। মামলা করার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমার বিরোধী দল করি আমাদের মামলা কি পুলিশ নিবে। পুলিশ তো আমাকে ধরারজন্য খুজছে।
সাকিল বেপারী জানায়, আমি ঢাকায় ব্যসাকরি ঈদের বাড়ি গিয়েছি। চেয়াম্যান বাড়ি ঢুকে আমাকে আমার স্ত্রী, মা-বোনকে মারধর করে আহত করে। আমার চেয়াম্যানে ভয়ে হাসপাতালে যেতে পারি নাই। পালিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। মোবাইল ফেনে থানা ওসিকে জানিয়েছি একটু সাস্থ হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগদিবো। এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.গোলাম সরোয়ার বলেন, চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইন-অনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।