দেশের খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ২১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। তা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, বর্তমানে ২০ লাখের (মেট্রিক টন) ওপর খাদ্যশস্য মজুত আছে। খাদ্যশস্য রাখার জায়গা হচ্ছে না। রোববার দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর এলাকায় ১ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন নবনির্মিত ‘এলএসডি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে আটটি আধুনিক স্টিল সাইলো (শস্য সংরক্ষণাগার) নির্মাণ করা হচ্ছে। এর কাজ প্রায় শেষের দিকে। এতে আরও সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সারাদেশে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার আরও ২০০টি পেডি সাইলো নির্মাণ করা হবে। এরইমধ্যে ৩০টি অনুমোদন হয়ে গেছে। মন্ত্রী বলেন, পেডি সাইলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। কৃষক ভেজা ধান নিয়ে এলেও তা রাখার সুযোগ থাকছে। ভেজা ধান রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা শুকিয়ে যাবে। ভেজার অভিযোগে আর কোনো কৃষককে ধান ফেরত নিয়ে যেতে হবে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল ও চার লাখ মেট্রিক ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে ঈদের আগে পর্যন্ত সাত লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও এক লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ধান-চাল কেনার অভিযান সন্তোষজনক। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান, নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর রহমানসহ স্থানীয় প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।