আমদানির খবরে এক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশীয় কাঁচা মরিচ কেজিতে কমেছে ৩০০ টাকা। যা শনিবার দেশীয় কাঁচা মরিচ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন,আমদানির খবরে পাইকারী ও খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে।দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতা সাধারণের মাঝে।
রোববার (২জুলাই) বিকেলে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে,কাঁচা মরিচ সরববাহ কম থাকলেও আজ দেশীয় কাঁচা মরিচ কেজিতে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গতকাল বিক্রয় হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
হিলি বাজারে কাঁচামরিচ ক্রেতা রুবেল ইসলাম জানান,আমার হোটল আছে। প্রতিদিন কাঁচামরিচের প্রয়োজন হয়। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে আমরা হোটেল মালিকরা বিপাকে পড়েছি। হোটেলে রান্নার কাজে কাঁচামরিচ ব্যবহার করতে অনেক খরচ পোহাতে হচ্ছে।
হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন,কাঁচামরিচের দাম অনেকটা কমে এসেছে। বর্তমানে ৩০০ টাকা কেজি প্রতি কমে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।তিনি আরও জানান,জয়পুরহাট, বগুড়া,বিরামপুর, পাঁচবিবির মোকামগুলো থেকে কাঁচামরিচ সরবরাহ করে থাকে।মোকামগুলোতে কৃষকেরা বেশি দামে বিক্রি করছে। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি।
এদিকে আমদানিকারকরা জানান, ঈদের ছুটি শেষে আগামীকাল সোমবার থেকে আমদানি শুরু হবে।আর আমদানি শুরু হলে কাঁচা মরিচের দাম আরও কমে আসবে। দুই একদিনের মধ্য দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মো: ইউসুফ আলী জানান,হিলি স্থলবন্দরের ৬ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
পানামা পোর্ট এর জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান,গেলো বছরের ২৪ আগস্ট থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। গত রোববার (২৫ জুন) সরকার আবারও কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এর ফলে সোমবার (২৬ জুন) থেকেই হিলিবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। গত ২৬ জুন ২৭ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।