খুলনার পাইকগাছায় রাস্তা নির্মাণে ড্রেজ কার্পেটিংয়ের মাত্র দু’দিনেই পায়ের সাথে উঠে আসছে পাথর, ভ্যান-সাইকেলের চাকার সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটছে নামমাত্র বিটুমিনে সংমিশ্রিত পাথরগুলি। এ যেন নতুন সড়কে মুড়ি ফুঁটছে। এমন পরিস্থিতিতে পথচারীদের বক্তব্য পীচ নয়, ইটেই ভাল ছিল তাদের রাস্তাটি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দূর্নীতি ঠেকাতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা। সুন্দরবন উপকূলীয় উপজেলার মাহমুদকাটি প্রধান সড়ক এটি। সড়কটি বয়েই পৌছাতে হয় সাড়া জাগানো গ্রামীণ পাঠাগার ঐতিহ্যবাহী অনির্বাণ লাইব্রেরীতে। বছরের বিভিন্ন সময় পাঠাগার পরিদর্শনে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রী-এমপি, আমলারা উঁকি দিয়ে যান অনির্বাণের ছায়াতলে। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের ত্রাণ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বরাদ্দ মেলে রাস্তাটির। দীর্ঘ ভোগান্তির মধ্যে বেড কাটিং থেকে শুরু করে এএস ও ডব্লিউবিএম ও সর্বশেষ বৃষ্টির মধ্যে পবিত্র ঈদুল আযহার আগে তড়ি-ঘড়ি করে ড্রেজ কার্পেটিংয়ে বিটুমিনে চরম কারচুপির মধ্যে কাজ শেষ করে চলে যায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এদিকে কাজ শেষ হতে না হতেই ছোট ছোট গাড়ী চলতেই রাস্তার পাথরগুলি উঠে যাচ্ছে। হাতের স্পর্শে সহজেই মুষ্টিবদ্ধ হচ্ছে পাথর কুচি। এমনকি চলতে পথে পথচারীদের পায়ের সাথেও উঠে আসছে পাথর-খোঁয়ার আস্তরন। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রাস্তা দিয়ে পথ চলতে নতুন রাস্তার আস্তরন উঠতে দেখে মোবাইলে ভিডিও ধারণ ও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুর। এ সময় তিনি আক্ষেপের সাথে বলেন, পিচের রাস্তার দরকার নেই-ইটেই ভাল ছিল তাদের রাস্তা। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ডালিম হোসেন জানান, প্রায় দেড় কিলোমিটার কাজের অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছে। এখনও পুরো কাজ শেষ হয়নি। তবে বৃষ্টির কারণে দু জায়গা নষ্ট হতে পারে। ঠিক করে দেয়া হবে। এলজিইডির উপজেলা প্রোকৌশলী হাফিজুর রহমান স্বভাব সূলভ চিরাচরিত ভঙ্গিতে বলেন, সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন না হলে বুঝে নেয়া হবে না।