ক্রয়ের চেয়ে ১০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত গরু প্রতি কম দামে বিক্রি করেছে পাইকারী বিক্রেতারা। অনেকে ক্রেতার অভাবে কোরবানীর গরু বিক্রিই করতে পারেননি। ফলে চরম লোকসানের মুখে পরেছেন বরিশালের গরু ব্যবসায়ীরা।
নগরীসহ জেলার সকল গরুর হাটের একই অবস্থা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার সকালে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা গ্রামের বাসিন্দা গরু ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, কুষ্টিয়া থেকে ৪৩টি গরু কিনে এনেছিলাম। কোরবানীর আগেরদিন রাত পর্যন্ত বিক্রি করে এখনও ১৮টি গরু অবিক্রিত রয়েছে। এসব অবিক্রিত গরু নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। জসিম উদ্দিনের দাবি তিনি ১১ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এখন তিনি গ্রামঘুরে বিয়ের বাড়ির লোকজনের সাথে আলোচনা করে ক্রয়ের চেয়ে কিছুটা কম দামে হলেও গরুগুলো বিক্রি করার চেষ্ঠা করছেন।
কাগাশুরা হাটের গরু ব্যবসায়ী মো. বাসেত মিয়া জানান, তিনি সাতটি গরু ক্রয় করেছিলেন। সব গরু বিক্রি করা হলেও তার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এক লাখ টাকা। চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফিরোজ গাজী বলেন, কোরবানীর হাট শেষ হওয়ার পরেও কাগাশুরা হাটের গরু ব্যবসায়ীদের শতাধিক গরু বিক্রি হয়নি।
চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম সাবু বলেন, এবারের কোরবানীর হাটে গরু বিক্রেতাদের মাথায় হাত পরেছে। ক্রেতার অভাবে অনেক গরু বিক্রি হয়নি। পাইকারী বিক্রেতারা ১০ থেকে ৪০ হাজার টাকা কম দামে গরু বিক্রি করেছেন।
নগরীর টেক্সটাইল বটতলা গরুর হাটের ইজারাদার রফিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানীর আগেরদিন রাত পর্যন্ত হাটের গরু বিক্রি হয়েছে। শেষপর্যন্ত তার হাটের ৫০টি গরু বিক্রি হয়নি। অনেক বিক্রেতা গরু বিক্রি করতে পারেনি। এ বছরের কোরবানীর হাটের মতো পাইকারী গরু বিক্রেতারা আর কখনও ক্ষতিতে পরেননি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার স্থানীয় ছোট এবং মাঝারি সাইজের গরু বিক্রি হয়েছে। কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বড় সাইজের গরু তেমন একটা বিক্রি হয়নি।
বরিশাল জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম বলেন, এবার বরিশাল নগরীতে তিনটি এবং ১০ উপজেলায় ৫৯টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিলো। তিনি আরও বলেন, এবার কি পরিমান গরু অবিক্রিত রয়েছে, এখনও সেই হিসেব তাদের কাছে নেই।