ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চাঞ্চল্যকর তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) সোহেল রানা (২৩) হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাকিব (২৩)কে গ্রেপ্তার করেছে কসবা থানা পুলিশ। গত সোমবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত রাকিব কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের কলেজপাড়ার নাছির মিয়ার ছেলে। খরব পেয়ে শতাধিক হিজড়া থানায় জড়ো হয়ে অভিযুক্ত রাকিবের ফাঁসি দাবি করেন। পুলিশ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) আসামি রাকিবকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক আদালতে প্রেরণ করেন।
কসবা থানা পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (৩০ জুন) রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর বাজার থেকে তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) সোহেল রানার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাকিবকে আসামি করে সোহেলের নিকট আত্মীয় নাজমা আক্তার কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাবিক হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, সোহেল রানাকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার বাদী নাজমা আক্তার তার নাতী সোহেলের হত্যাকারী রাকিবের ফাঁসি দাবী করেন।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, সোহেল হত্যা মামলার আসামি রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাকিব ইট দিয়ে সোহেলের মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করেছে বলে থানায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
উল্লেখ্য নিহত সোহেল রানা দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার সুখদেবপুর গ্রামের সাবের আলীর সন্তান। সে কসবা উপজেলার গোপিনাথপুরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। গোপিনাথপুর গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া তাকে বিভিন্ন সময়ে বিরক্ত করতো। সম্পর্ক গড়তে সোহেলের ভাড়া বাসায় রাকিব আসা-যাওয়া করতো। এ নিয়ে সোহেল রাকিবের পরিবারে বিচারও দিয়ে ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সোহেলের বাসায় দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং ওই রাতেই পুলিশ গোপিনাথপুর বাজার থেকে নিহত সোহেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে।