মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার মনতৈল গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিকার চেয়ে ন্যায় বিচার পেতে থানায় মামলা করে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এক প্রবাসীর পরিবার।
সরজমিনে জানা গেছে, উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের মনতৈল গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস মিয়া দীর্ঘদিন থেকে মধ্য প্রাচ্যে অবস্থান করছেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে চার কন্যা ও দুই শিশু পুত্রকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন আয়া বেগম। তাদের সংসারে স্বচ্ছলতা দেখে প্রতিবেশী মৃত মদরিছ আলীর ছেলে পুতুল মিয়া, মজমিল আলী, মৃত আছির আলীর ছেলে সিরাজ মিয়া, মজমিল আলীর ছেলে জুবেলসহ চিহ্নিত কিছু লোক পরিবারটির পিচু নেয়। তারা বিভিন্নভাবে আয়া বেগমের ক্ষয়-ক্ষতি করার চেষ্টা করতে থাকে।
চলতি বছরের ১০ জুন ওই ব্যক্তিরা বিকেল ৪ টায় বাড়ীর পাশের জমি দখল করতে যায়। আয়া বেগম তাদের বাঁধা দিলে দখলদাররা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলা কারীরা তাকে রক্তাক্ত জখম করে নারকীয় তান্ডব চালিয়ে ৬৫ হাজার টাকার স্বর্নলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশীরা গুরতর আহত অবস্থায় আয়া বেগমকে উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তিন দিন চিকিৎসার পর পুতুল মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে জুড়ী থানায় একটি মামলা (নং ০৩ তাং -১৬/০৬/২৩ইং ধারা ৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/১১৪ দঃ বিধি) দায়ের করেন।
আয়া বেগম বলেন, বিবাদীগণ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে তাকে এবং তার বড় মেয়ের জামাইসহ মামলার ৪ জন স্বাক্ষীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আয়া বেগম আরো বলেন, তিনি একা মানুষ তার মেয়েরা কলেজে পড়াশুনা করে। আসা যাওয়ার পথে প্রাণে হত্যাসহ যে কোন ক্ষয়ক্ষতি করবে বলে বিবাদীপক্ষ হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে আসছে।
প্রবাসী মনির মিয়ার স্ত্রী রাবিয়া সুলতানা বলেন, বিবাদীগণ আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট কথাবার্তা বলতেছেন। তারা যেকোন সময় আমার এবং আমার স্বামীর ক্ষতি করতে পারে তাই আমি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই। আয়া বেগমের মেয়ে তান্নি আক্তার বলেন, আমি আমার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসি। বিবাদীরা আমার মাকে রক্তাক্ত জখম করে স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। ঘটনার সময় আমার স্বামী এখানে ছিলেন না আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন মজমিলসহ কয়েকজন।
ওই গ্রামের আবদুল জব্বারসহ আরোও অনেকেই জানান, আয়া বেগমের স্বামী ইলিয়াস মিয়া প্রবাসে থাকার সুযোগে পরিবারটির উপর অন্যায়ভাবে জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফরহাদ বলেন, আয়া বেগমের উপর হামলার বিষয়ে থানায় দায়েরকৃত মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। শীঘ্রই বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেওয়া হবে।