নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রায় তিন ঘন্টার টানা ভারী বর্ষণে শহরের বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। চলাচলের রাস্তাগুলোয় জমেছে হাঁটু পানি। রাস্তায় শ্রোতের সাথে যেন থৈ থৈ পানি।
৫ জুলাই বুধবার টানা বর্ষণে সৈয়দপুর শহরের বেশীর ভাগ রাস্তা ছিল পানিতে ভরা। অনেকে মন্তব্য করেন এ যেন ছিল সাময়িক বন্যা। সাময়িক বন্যার কবলে ছিল শহরের থানার সামনে রাস্তা।
অটো চালক সাগর বলেন,অল্প সময়ে রাস্তাটি পানিতে ভরে যায়। হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে আমরা যাত্রী নিয়ে চলাচল করছি। পথচারি তুহিন বলেন, থানার সামনের রাস্তার পানি দেখে মনে হল এটি কোন পুকুর।
শহীদ ডাঃ সামসুল হক সড়ক। পোস্ট অফিস থেকে কাপড় মার্কেট এ রাস্তাটিতে মনে হয় নৌকা চালানো যাবে। কাপড় ব্যবসায়ি নুরু মিয়া জানান,
বর্ষার পানি দোকানে প্রবেশ করে। ফলে নষ্ঠ হয়ে থাকে কাপড়। পানি নিস্কাশনের পথ না থাকায় এ অবস্থা বিরাজ করে
শেরে বাংলা সড়ক। পৌর সৌচাগার থেকে প্লাজার মোড় পর্যন্ত রাস্তাটিতে জমে পানি।
বাঁশবাড়ী মহল্লার দুইটি রাস্তা ভরে গেছে পানি। এলাকার লোকজনের দাবি এ পানি নেমে যেতে সময় লাগে দুই থেকে তিন দিন। এ সময় চরম ভোগান্তিতে পড়েন লোকজন।
এদিকে শহীদ ডাঃ জিকরুল হক রোড। আফসার টেইলার্স দোকান থেকে সাংবাদিক নিজুর বাসা পর্যন্ত রাস্তাটিতে হাঁটু পানি।
বর্ষায় পানিতে রাস্তাগুলো থৈ থৈ অবস্থা। তবে এ পানি নিমিষেই নেমে যায়। তাই শহরের সচেতন মহল বলছেন শহরের রাস্তার ওপর পানি দেখে মনে হয় এ যেন সাময়িক বন্যা।
সৈয়দপুর বনিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলি জানান, পানি নিস্কাশনের জন্য যে ড্রেন রয়েছে তা পরিস্কার না করায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বর্ষায় পানি ড্রেন দিয়ে বের হতে না পারায় দেখা দেয় কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন, শহরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। শহর ও মহল্লার পানি যাতে সহজে ড্রেনে পড়ে তার জন্য পৌর পরিষদ ড্রেনগুলো দুই মাস পুর্বে পরিস্কার করেছে। তবে কিছুকিছু ব্যবসায়ি রাতের অন্ধকারে ড্রেন দখল করে তাদের ব্যবসার স্থান করে নিয়েছে। ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দিয়ে ড্রেনের ওপর বসিয়েছে ব্যবসার পসরা। আমরা দ্রুত সময়ে অভিযানে যাব। যে সকল ব্যবসায়ি এ কাজের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পৌর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।