খুলনার পাইকগাছায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতায় চরম দুর্ভোগে উপজেলার পারিশ্বামারীসহ লতার শচিয়ার বন্ধ, তেতুলতলা, আঁধারমানিক আশপাশ গ্রামের মানুষ। ক'দিনের ভারী বৃষ্টিতে দু'মাস পূর্বে মাটি খুড়ে রাখা একমাত্র চলাচল রাস্তা এখন হাঁটু সমান কাঁদা-পানিতে পিচ্ছিল হয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মাটি খঁড়ে রাখা রাস্তা গুলো পানির চাপে দু'পাশ্বের রিংবাঁধ খাল বা চিংড়ি ঘেরে ধ্বসে পড়ছে। শিশু থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বয়োবৃদ্ধ নারী-পুরুষ ও পথচারিরা পড়েছে বে-কায়দায়। সব ধরনের মালামাল বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে বহুবার তাগিদ দেওয়ার পরেও ঠিকাদারের গড়িমসির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, ২১-২২ অর্থ বছরে খুলনা বিভাগীয় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সোলাদানা ইউপি'র পারশ্বেমারী গ্রামের চলাচল রাস্তার উন্নয়নে স্বরণকালের সর্বোচ্চ বাজেট আড়াই কোটি টাকার টেন্ডার হয়। পাইকগাছা-বেতবুনিয়া সড়ক ঘেষা পারশ্বেমারীর বৈরাগী বাড়ী হতে ওয়াবদা হয়ে আমুরকাটা অভিমুখি ৩ কিমি. ডাবল ইটের সোলিং এর জন্য ১ কোটি ৫২ লাখ ৪৬ হাজার টাকার উপরে বরাদ্দ হয়। অন্যদিকে একই অর্থ বছরে লস্কর-ভিলেজ পাইকগাছার মাদ্রাসা মোড় হতে পারশ্বেমারী গ্রামের বেইলী ব্রিজ পর্যন্ত ১২২০ মিটার কার্পেটিং অর্থাৎ পিচের রাস্তা উন্নয়নে ৯৫ লাখ টাকার টেন্ডার হয়। এ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে রাস্তা খুঁড়ে বালিভরাট করে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা করেছেন। তবে লতার রাস্তা খঁড়ে রেখেছে ঠিকাদার। কিন্তু ৩ কিমি. ডাবল ইটের সোলিং এর ঠিকাদার দু'মাস পূর্বে রাস্তা খুঁড়ে রাখলেও আর কোন কাজ করেনি। উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবাযনে সাতক্ষীরার মের্সাস কানিজ ট্রেডিং' নামের একটি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার পায়। কিন্তু তাদের সাব ঠিকাদার এ পর্যন্ত শুধু রাস্তা খুঁড়ে প্রকল্পটি ঝুলিয়ে রেখেছেন। অথচ প্রকল্পটি শেষ হবার পথে। অতি সম্প্রতি'র ভারী বৃষ্টিপাতে খুঁড়ে রাখা রাস্তার দু’পাশে রিংবাঁধ দেওয়ায় কাঁদাসহ কোথাও হাঁটু পানি জমে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে সোলাদানা ইউপি'র ১নং ওয়ার্ড সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান লাভলু বলেন, দেশ স্বাধীনের পর এবার এমপি মো. আক্তারুজ্জামান বাবু পারিশ্বামীর স্কুল ভবন ও রাস্তার উন্নয়নে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, দু'মাস পূর্বে বেকুতে একমাত্র রাস্তার মাটি খুঁড়ে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এখন বৃষ্টিপাতে চলাচল ব্যবস্থা নষ্ট হলে মানুষ পড়েছে বে-কায়দায়। লতার শচিয়ার বন্ধ গ্রামের অসংখ্য মানুষ একই ধরনের অভিযোগ করে বলেন, এ দুর্ভোগ কবে শেষ হবে তা অনিশ্চিত!। এদিকে নানা সংকটের কথা জানিয়ে পারিশ্বামারী প্রকল্পের ঠিকাদার হাসনাত জানান, শুক্রবার থেকে রাস্তার কাজ শুরু হবে।