পাবনার সাঁথিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের। নিহতরা হলেন-উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কাবারিকোলা গ্রামের মাসুদ মুন্সির ছেলে জামিরুল ইসলাম (৩০) এবং জালাল মুন্সির ছেলে বাবু মুন্সি (২৫)। সর্ম্পকে তারা একে অপরের আপন চাচাতো ভাই। এ সময় একই গ্রামের মন্তাজ সিকদারের ছেলে মমিন সিকদার ও চন্ডিপুর গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে আওয়াল আলী নামে দুইজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৬জুলাই)সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে ট্রেন রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছেন।আহতদের উদ্ধারকরে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,নিহত জামিরুলের ভুসির দোকানে আজ (বৃহস্পতিবার) হালখাতা ছিল। জামিরুল তার চাচাতো ভাই বাবু ও প্রতিবেশি মমিনকে সাথে নিয়ে সকালে মোটর সাইকেল নিয়ে কাশিনাথপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে চন্ডিপুর গ্রামের ট্রেন রাস্তা দ্রুত পার হওয়ার সময় ঈশ্বরদী থেকে ছুটে আসা ঢালারচর এক্সপ্রেস নামের ট্রেন তাদের ধাক্কা দিলে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। মোটর সাইকেলে থাকা মমিন ছিটকে পড়ে গেলে সে প্রানে বেঁচে যায়। তবে মোটর সাইকেলটি ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গেলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আওয়াল আলীর গায়ের উপর পড়লে সে গুরুতর আহত হয়।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার এস আই ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভোর সাড়ে চারটায় ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ঢালারচর এক্সপ্রেস পথিমধ্যে চন্ডিপুর গ্রামে পৌঁছালে এদুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে চাচাতো দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরো দুইজন। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল বলছেন, রেল ক্রসিং না থাকার কারণে (অপরিকল্পিত পরিচালনা ব্যবস্থা) এই দুর্ঘটনায় ঝরে গেল দুটি তাজা প্রাণ। তারা অবিলম্বে চন্ডিপুরসহ সকল রাস্তার সংযোগস্থলে রেল ক্রসিং বসানোর দাবি জানান।