খুলনার পাইকগাছায় লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস সাময়িক বহিস্কারের লিখিত জবাব দিয়েছেন। গত ২ জুলাই খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরিত জবাবে (স্বারক নম্বর ৪৬০০.৪৭০০.০১৭.২৭.০০২.২০-৫৭৭) সাময়িক বস্কিৃত চেয়ারম্যান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল অশ্লীল ভিডিওতে যুক্ত হয়ে এক নারীর সাথে হস্তমৈথুন করেছেন বলে স্বীকার করেন। মেডিকেল সাইন্সের কথা উল্লেখ করে তিনি উল্লেখ করেন ৭৫ ভাগ পুরুষ ও ৪২ ভাগ নারী কোন না কোনভাবে হস্তমৈথুন করে। এটা কে মানব জীবন যাপন প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক অংশবিশেষ বলে উল্লেখ করেন। ইহা বেআইনি বা অপরাধ কর্মকান্ডের মধ্যে পড়ে না। ইহা একটি প্রাকৃতির কর্মকান্ডের অন্তর্ভুক্ত। জবাবে আরো বলেন, বাংলাদেশ দন্ডবিধির ১৪ অধ্যায় ২৯৪ ধারায় অনৈতিক অশ্লীলতার বর্ণনায় আমি কর্তৃক সম্পাদিত কর্মটি পড়ে না। দন্ডবিধি অন্যকোন ধারায় অনৈতিক অশ্লীলতার কোন বর্ণনা নাই। তিনি তার ঘরের মধ্যে বসে একান্ত পরিবেশে কর্মটি করেন। কিন্তু কতিপয় নষ্ট চরিত্রের মানুষ ও আমার শত্রুরা অতি গোপণে ছবি তুলে তা ইন্টারনেটে ছাড়িয়ে দিয়ে অপরাধ করেছে। ফলে তার সম্মান ও সুখ্যাতি নষ্ট হয়েছে কলে তিনি দাবী করেন। এনেহ কর্মকান্ডের জন্য তিনি দুঃখপ্রকাশ ও ক্ষমাপ্রার্থনা করে বলেন, ভবিষ্যতে আমার দ্বারা এধরনের কর্মকা- সংঘঠিত হবে না। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি আরো বেশি সচেতন ও সর্তকতার সাথে চলবো। আরো বলেন, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (খ) (ঘ) বর্ণিত অপরাধ সমূহ আমার ক্ষেত্রে কতটুকু যুক্তিযুক্ত তাহা বিবেচনার জন্য আপনাদের উপর রহিল। সেই সাথে তিনি তার সাময়িক বহিস্কার প্রত্যাহার দাবি জানান। গত ২০ জুন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসকে সাময়ীক বহিষ্কার করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস জানান, আমাকে সাময়িক বহিস্কার করে সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আমি জবাব দিয়েছি। লতা ইউনিয়নবাসী গত ২৫ জুন ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসকে স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় ও প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন।