ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার চরবাঁশপুর গ্রামে জহুর বিশ্বাসের পরিবারের দখলীয় সম্পত্তিতে আবাদকৃত পাট জোরপূর্বক কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শুধু পাট কাটাই নয় জমিও জবরদখলের অপেচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের করিম খান গং এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা গেছে, চরমহিষাপুর গ্রামের করিম খান গং চরবাঁশপুর গ্রামের জহুর বিশ্বাসের ভোগদখলীয় জমি থেকে জোরপূর্বক পাট কেটে সম্পত্তি জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একই সাথে তারা মারামারি,হাঙ্গামা সৃষ্টিসহ বিভিন্নভাবে পরিবারকে হয়রানী করছে বলেও অভিযোগ উঠছে। করিম খান গং লাঠি-সোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাট কাটার পাশাপাশি জমিতে পাহারা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি পরিবার।। উল্লেখ্য জহুর বিশ্বাসের সরকারি বন্দোবস্ত জমিটি মধুখালী থানার অন্তগর্ত ১৫২ নং চর মহিষাপুর মৌজার ১ /৬ নং খতিয়ানের ২০৫ নং দাগের ৩৯ শতাংশের মধ্যে ১৯ শতাংশ জমি।
ভুক্তভোগি জহুর বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমি জমি চাষ করে আসছি আমার বাড়ি দুরে হওয়ায় করিম খান, মিজান খান, পুকার মোল্যাসহ সাত আটজন বুধবার (৫ জুলাই) ভোর ৬ টার সময় আমার জমিতে এসে পাট কাটতে শুরু করে আমি পাট কাটা বাঁধা প্রদান করতে গেলে করিমসহ তার লোকজন আমাকে গালিগালাজ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া ও মারধর করার চেষ্টা করে, আমি আমার প্রান বাঁচাতে চলে আসি। এ ব্যাপারে আমি মধুখালী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছি। আমার জমির আনুমানিক বাজারমূল্য ৬০ হাজার টাকা
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত করিম খানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন পাট কাটছি তাই কি হয়েছে। এই জমি আমার তাই পাট কাটছি।
এ ব্যাপারে মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, শুনেছি পাট কাটা হয়েছে তবে থানায় সাধারন ডায়েরি করা হলেও আমি ডায়েরির কপি এখনো হাতে পায়নি কপিটি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।