পাবনার সাঁথিয়ায় রওশনারা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী সুমন হোসেন বলাইকে আটক করেছে থানাপুলিশ। সুমন সাঁথিয়া উপজেলাধীন পার-করমজা গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। নিহত রওশনারা পাশর্^বর্তী উপজেলা শাহজাদপুরের চয়রা গ্রামের রওশন প্রামানিকের মেয়ে। বুধবার (৫জুলাই)দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পারিবারিক ও থানা সুত্রে জানা গেছে, গত ৮ বছর আগে পাশর্^বর্তী শাহজাদপুর উপজেলার চয়রা গ্রামের রওশন প্রামানিকের মেয়ে রওশনারা খাতুনের বিয়ে হয় সাঁথিয়া উপজেলার পার-করমজা গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে সুমনের সাথে। তাদের ঘরে চার বছরের একটি মেয়ে ও দেড় বছরের এক ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে সুমন তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রায়ই রওশনাকে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করতো। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার(৫জুলাই) রাত ১০টার দিকে ওষুধ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামী সুমন রওশনাকে মারপিট করে। নিহতের গলায়, মুখে, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মেয়ের বাবা রওশন প্রামানিক জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে সুমন নানাভাবে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করতো। টাকা পয়সা চাইতো। এ নিয়ে বিগত দিনে কয়েক বার শালিসবিচারও হয়েছে। সে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
নিহত রওশনারার চাচা আবদুল কুদ্দুস প্রামানিক জানান, প্রায় আট বছর আগে পারিবারিক সিদ্ধান্তেই সুমনের সঙ্গে রওশানারর বিবাহ হয়। বুধবার(০৫ জুলাই)দিবাগত রাত তিনটার দিকে সুমন নিহতের বাবাকে খবর দেন আপনার মেয়ে খুব অসুস্থ আমার বাড়িতে আসেন। পরে আমার ভাইরাত ৪টার দিকে সুমনদের বাড়িতে পৌঁছে দেখতে পায় তার মেয়ে মৃত অবস্থায় ওই বাড়ির ঘরের সামনে পড়ে আছে।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ওদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। ঘটনার দিন দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। সুমন রওশনাকে মারপিট করলে সে পড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আঘাতে সে মারা গেছে। নিহতের স্বামী সুমনকে আটক করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার (৬জুলাই) পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।