দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শ্রীমঙ্গল উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুনরায় চালু হলো জিন এক্সপার্ট মেশিন।
এলইডি মাইক্রোস্কোপ মেশিনের চেয়ে অটোমেটেড জিন এক্সপার্ট মেশিনে অধিক নির্ভূলভাবে রিপোর্টিং করা যায় এই মেশিনে।
শ্রীমঙ্গল স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তাপস দেব জানান, ২০১৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম উপজেলা হিসাবে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় জিন এক্সপার্ট মেশিন চালু করা হয়েছিলো। চা বাগান অধ্যুষিত এ উপজেলার মানুষের যক্ষা রোগ নির্নয়ে জিন এক্সপার্ট মেশিন চালু করা হয়েছিল। ২০২০ সালে মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানান, পরবর্তীতে এ মেশিনের মডিউল নস্ট হয়ে যাওয়ায় এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি বিশ্বের এ মেশিন উৎপাদনকারি একমাত্র প্রতিষ্ঠান সাউথ আফ্রিকার সেফেইড কোম্পানি থেকে মডিউল সংগ্রহ করার পর পুনরায় গত ৪ জুন জিন এক্সপার্ট মেশিনটি চালু করা হয়।
তাপস দেব আরো জানান, এ পরীক্ষাটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সারা পৃথিবীতে একটি মাত্র কোম্পানি জিন এক্সপার্ট মেশিনের কার্টিজ তৈরি করে। একটি কার্টিজের দাম প্রায় ১২ ডলার অর্থাৎ আনুমানিক ২ হাজার টাকার মতো। বর্তমান সরকার বিনামুল্যে এ পরিক্ষার ব্যবস্হা করেছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষা রোগ প্রতি লাখে ৫ এর কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কাজ করে যাচ্ছে।