শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সাপের কামড়ের ৩ রোগী গত দুইদিনে শ্রীমঙ্গল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। হাসপাতালের প্রধান স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরীর তড়িৎ পদক্ষেপে ৩ জন সাপে কাটা রোগী এখন সুস্হ।
শ্রীমঙ্গল হাসপাতাল সুত্র জানায়, পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মী কামরুজ্জামান আলিয়াছড়া পুঞ্জিতে ওঁর দায়িত্ব পালনকালে সাপের কামড়ের শিকার হোন। সাপটি বিষাক্ত ছিল তাই খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. স¤্রাট কিশোর পোদ্দারকে আগে থেকে এন্টিভেনম দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন।
পরে রোগী আসার সাথে সাথেই ব্লাড ক্লটিং টেস্ট করা হয় এবং সেটা নেগেটিভ আসে। আর রোগীর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করলে জরুরি ভিত্তিতে ডা. শারমিন আক্তার ও ডা. শাহ মো. নাসিফ উপস্থিত হন। প্রধান স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে উপস্থিত তিনজন মেডিকেল অফিসার ও কর্তব্যরত স্যাকমো, এসএসএন ও ওয়ার্ডবয়সহ সবার টিমওয়ার্কের মাধ্যমে সফলভাবে সাপে কাটা রোগীকে এন্টিভেনোম দেওয়া হয় এবং একই সাথে সার্বক্ষণিক তার ভাইটালস মনিটরিং করা হয়।
সুত্র জানায়, এন্টিভেনম দেওয়ার পর রোগী ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে আসে এবং নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে এখন পর্যন্ত কোন বাড়তি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়নি এবং রোগী এখন ভালো বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী।
এছাড়াও মো. সালেক ও ইলিয়াস মিয়া নামের আরও দুইজন রোগী সাপে কাটা নিয়ে গত দুইদিনে ভর্তি হয়েছিলেন। সেটা বিষাক্ত সাপের কামড় না হওয়ায় ওঁদের ২৪ ঘন্টা হাসপাতালে তত্ত্বাবধানে রাখা হয় এবং রোগী সুস্থ থাকায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়।