কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দফাদারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গরীব ও দুস্থদের দেওয়া ভিজিএফ’র ৬৩০ কেজি চাল অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। গত ২৭জুলাই ওই চাল স্থানীয় জনগণ কর্তৃক আটক হয়। এখবর মোবাইল ফোনে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিম্বাস জানতে পেরে আটককৃত চাল সরসকাটি ক্যাম্প ইন-চার্জকে জব্দ করার নির্দেশ দেন। পরদিন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ৩জুলাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করে তার বরাবর ওই টিমকে ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার সকালে জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদে বিষয়টি তদন্তে আসেন। তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা পরিষদ থেকে চলে যাওয়ার সময় মহিলা মেম্বার ও তার স্বামীকে মারধর করা হয়। এবিষয় নারী মেম্বর বাদী হয়ে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৮জুন জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক অসহায়দের নামে বরাদ্দকৃত ৬৩০ কেজি চাল চুরির একটি সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গত ৩ মে ইউপি চেয়ারম্যান বিশাখা তপন সাহা তদন্তকালে পরিষদ কার্যালয়ে ৪, ৫ ও ৬ নং (সংরক্ষিত) ইউপি সদস্য মোছা: হামিদা খাতুনকে উপস্থিত থেকে তদন্ত কাজে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করেন। ইউপি চেয়ারম্যানের ডাকে তিনি মঙ্গলবার সকালে ইউপি কার্যালয়ে হাজির হয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের নিকট লিখিতভাবে তার বক্তব্য দাখিল করেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান ও দফাদার আলাউদ্দীন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। দুপুরের দিকে তদন্ত কর্মকর্তাগণ তদন্ত কাজ শেষ করে চলে যাওয়ার সাথে সাথেই চেয়ারম্যান বিশাখা সাহার ইন্ধনে দফাদার আলাউদ্দীনসহ তার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ইউপি কর্যালয়ের সামনে শতাধিক মানুষের সামনে তার প্রতিবন্ধী স্বামীকে শাররীক ভাবে লঞ্চিত করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা ওই ইউপি সদস্যের স্বামীকে খুন জখম করা হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে কতিপয় ইউপি মেম্বার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা তার স্বামী মো: অমেদ আলীকে দফাদার আলাউদ্দীনগংদের হাত থেকে রক্ষা করে।