কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি বানিয়ে ইন্টারনেটে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে এক ছাত্রদল নেতা। এমনকি ওই গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। পূর্ণরায় নির্যাতিতা গৃহবধূর কাছে টাকা দাবি করে অভিযুক্ত ধর্ষক রাফিন খন্দকার রাহাত। উপায়অন্তুর না পেয়ে ওই গৃহবধূ এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের উত্তর সাতলা পটিবাড়ি গ্রামের। শনিবার দুপুরে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে উজিরপুর মডেল থানার এসআই আশিক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষণের ঘটনায় বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটির তদন্তভার পিবিআইতে রয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, ওই ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই আশিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
সূত্রমতে, পটিবাড়ী গ্রামের প্রবাসী রকিব খন্দকারের বখাটে ছেলে সাতলা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রাফিন খন্দকার রাহাত (২৪) একই এলাকার প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননীর ছবি সংগ্রহের পর এডিট করে অশ্লীল ছবি তৈরি করে। পরবর্তীতে আপত্তিকর ওইসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ছাত্রদল নেতা রাহাত। নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ জানান, ওই ছবি দিয়ে রাহাত তাকে জিম্মি করে বিগত তিন বছর ধরে বিভিন্নস্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ২৬ জুন রাত ১২ টার দিকে বখাটে রাহাত তার ঘরে ঢুকে পুনরায় অবৈধ মেলামেশা করার প্রস্তাব দেয় এবং আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে রাহাত অশ্লীল ছবি ভাইরাল করাসহ তার (গৃহবধূ) স্বামীর কাছে পাঠানোর হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে কৌশলে তা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে। গৃহবধূ আরও জানান, উপায়অন্তুর না পেয়ে গত ৬ জুলাই বরিশাল আদালতে ছাত্রদল নেতা রাফিন খন্দকার রাহাতকে অভিযুক্ত করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন পিবিআই কর্মকর্তাদের।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রাফিন খন্দকার রাহাতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে বলেন, উভয়ের সম্মতিতে ওই গৃহবধূর সাথে আমার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। আমার কাছে যার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় একটি মহলের ইন্ধনে ওই গৃহবধূ আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।