ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকায় বয়ে যাওয়া ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এলাকাবাসির। অসময়ে হঠাত করে এমন ঝড় হবে এমন টা আশা কেউ করেনি। মুজিববর্ষে উপহার পাওয়া অসহায় হতদরিদ্রদের আধাপাকা ঘরসহ আর কয়েকটি ঘরবাাড়ি ভেঙে যাওয়া তা অসহায় হয়ে পড়েছে। বারোবাজার এলাকায় বিভিন্ন ফল, কাছের গাছপালা ও বিদ্যুতের খুটি উপড়ে গিয়ে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। বারোবাজার ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে শুক্রবার ভোররাত ৪ টার দিকে ৫ টি ঘরের মানুষ ব্যাপক ভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। উড়ে গেছে বসত ঘরের বারান্দাসহ ঘরের টিন, কাঠ। এছাড়াও একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আবু তালেবের বাড়িঘর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্যদিকে গাছ ও ডালপালা ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন গ্রাম এলাকার লোকজন।
মুজিববর্ষে উপহার পাওয়া ঘরের মালিক জুলফিক্কার জানান, হঠাৎ করে শুক্রবার ভোর ৪ টার দিকে ঝড় ওঠে। মুহুর্তের মধ্যে আমার বাড়ির আশপাশের গাছপালা ও বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে যায়। পরিবার পরিজন নিয়ে ভয়ে অন্যাত্র স্থানে আশ্রয় নিয়ে থাকি। মুজিববর্ষে উপহার পাওয়া ঘর ঝড়ে ভেঙে যাবে এমনটি আশা করতে পারি নাই। ক্ষতিগ্রস্থ মর্জিনা বেগম জানান, মুহুর্তের মধ্যে বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে। ঝড়ে গাছপালা ভেঙে বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে আছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে এলাকার মানুষ অন্ধকারে বসবাস করছে। একথা বলে তিনি কাঁন্নায় ভেঙে পড়েন। ক্ষতিগ্রস্থ ইসাহক বলেন, ঝড়ে গাছ পড়ে তাদের টিনের চালা ঘরসহ কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিদ্যুৎ অফিস বলছেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমান টা অনেক বেশি এ কারণে একটু সময় লাগবে বিদ্যুত সংযোগ চালু হতে।
চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, ঝড়ে কয়েকটি ঘর ভাঙার সংবাদ শুনেছি কিন্তু, মুজিববর্ষের উপহার পাওয়া ঘরের সংবাদ শুনিনি। ব্যস্ততার কারণে সেখানে যেতে পারিনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেব।