দেশের সর্ব উত্তরে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে অপারেটর নাই। প্রায় ৭ বছরের অধিক সময় এক্স-রে মেশিন বন্দ থাকায় রোগীদের দূভোর্গ।
জানা যায়, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে হাসপাতালটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। হাসপাতাল পরিসংখ্যানের তথ্য মতে, বর্হিবিভাগে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিনশ থেকে চারশ জন রোগী এবং আন্তঃবিভাগে প্রায় ২০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। হাসপাতালে একটি পুরাতন (এনালগ) এক্স-রে মেশিন থাকলেও অপারেটরের অভাবে রোগীরা সেবা নিতে পাচ্ছে না। ২০১৫ সালে হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি অপারেটর অন্যত্র বদলী হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৭ বছর ধরে এক্স-রে মেশিনটি পড়ে আছে। ফলে পাথর সাইটে ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আহত অনেক রোগীকে মোটা অংকের ফি দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক বা ল্যাবে এসেবা নিতে হচ্ছে। এমনকি অনেক সময় প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো খোলা না পেয়ে ৫০ কি.মি. দূরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল কিংবা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সেবা নিতে হচ্ছে। অপারেশন থিয়েটার (ওটি) বিভাগের মূল্যবান যন্ত্রপাতি থাকলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে ওটি কার্যক্রম বন্দ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ এ- এফপিও) ডাঃ মোঃ আলী এহসান বলেন, নতুন একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন সহ অপারেটর চেয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মনন্ত্রণালয়ে পত্র প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুরাতন এক্স-রে মেশিনটি মেরামতে দরপত্র বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন আছে। আশা করি -খুব তাড়াতাড়ি চালু হবে।