গত কয়েক দিন থেকে নীলফামারীতে চলছে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম। তার সাথে প্লাস ছিল বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। গরমে যখন মানুষ ছিল অতিষ্ঠ দিক বেদিক হারা। তখন বিদ্যুৎ বিভাগও চালিয়ে দেয় লোডশেডিং। দুই যন্ত্রণায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।
জেলার আশপাশের কোন কোন স্থানে পানি ঝরলেও নীলফামারী ছিল পানি বিহীন। অতিরিক্ত তাপমাত্রার সাথে ভ্যাপসা গরমে মানুষ একটু শান্তি পেতে ছুটে যায়, পাশের বাঁশঝাড়ে বা কোন পাতাভর্তি গাছের তলায়। কেউবা ছুটে যায় ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকানে। কেউবা যায় আখের রস পান করতে।
চারপাশের জেলা শহরে পানি হলেও নীলফামারীতে পানি না হওয়ায় কেউ কেউ বলে বসেন এখানে আল্লাহর গজব পড়েছে। আবার কেউ বলছেন ঋতু পরিবর্তনের কথা। কেউবা তর্কে জড়িয়ে বলছেন এখন তো বর্ষাকাল তাহলে পানি নেই কেন। কত জনের কত কথা আকাশের পানি না আসা নিয়ে। এরইমধ্যে আকাশের পানি নেমে আসে। গত দুইদিন থেকে কখনো দিনে আবার কখনো রাতে পানি ঝড়ছে। ওই পানি নিমিষে স্বস্তি এনে দিয়েছে মানুষকে।
তর্ক বিতর্ক শেষে এখন কেউ কেউ বলছেন রহমতের পানি শান্তি এনে দিল মানুষকে।
দুইদিন থেকে জেলার সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা ও নীলফামারীতে পানি হচ্ছে। এরফলে ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে মানুষ রক্ষা পেয়েছে। ভ্যাপসা গরম নিয়ে কথা হয় ব্যবসায়ি মাহবুব আলমের সাথে। তিনি বলেন কয়েক বছর থেকে এমন গরম দেখেনি। আকাশের পানি না হওয়ায় গরম বেশী পড়ছে। সাংবাদিক আশরাফুল আলম বলেন, মধ্য আষাঢ়েও পানি নেই। অথচ এ সময়ে পাশের খাল, বিল পানিতে ভরে যায়।