ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের মালিয়াট গ্রামের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন (৫৫) নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার দুপুর ১ টার দিকে নিজ বাড়িতে গরুর খাদ্য কাটা ধারালো বটি দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন তিনি। আনোয়ার হোসেন মালিয়াট গ্রামের মৃত বারেক মন্ডলের ছেলে।
আনোয়ার হোসেন ৫ মাস আগে হঠাত ব্রেন স্টোক করে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসলেও তিনি আর সুস্থ হননি। ব্রেন স্টোক করার পর থেকে তিনি প্রায়ই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করতেন পরিবারের সদস্যরা জানান। বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে তিনি নিজের গলা ধারালো বটি দিয়ে কেটে ফেলেন। এ সময় তার পরিবাররের সদস্যরা তাকে দ্রুত যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত আনোয়ার হোসেনের দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। আনোয়ার হোসেন মাীলয়াট ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ছিলেন। আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু নিয়ে পুলিশ, পরিবার ও প্রতিবেশিরা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিযেছে। বুধবার দুপুর ১টার দিকে নিজ বাড়িতে তার গলা কাটা পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। পরিবারের সদস্যরা বলছে, কয়েক মাস আগে স্ট্রোক করার পর থেকে সে অসুস্থ ছিল। মঙ্গলবার যশোর সিএম এইচ থেকে ডাক্তার দেখিয়ে আনা হয়। বুধবার দুপুরে ঘরের মধ্যে পড়ে গিয়ে সোকেসের গ্লাস ভেঙ্গে গলা কেটে যায়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, নিহত ব্যক্তি চার মাস আগে স্ট্রোক করে যাশোর সিএমএইচ এ চিকিৎসাধিন ছিল। মঙ্গলবার রাতে অসুস্থ্যতার কারণে ঘুম না হওয়ায় আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুপরে ঘরে ভিতরে উঠে দাড়াতে গেলে মাথা ঘুরে সোকেসের গ্লাসের উপর পড়ে যায়। এতে গ্লাস ভেঙ্গে তার গলাই ঢুকে যায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মালিয়াট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান একরামুল হক সংগ্রাম মুঠোফোনে জানান, আনোয়ার হোসেনের ব্রেন স্টোকের পর থেকে তার মানুষিক সমষ্যা দেখা দেয়, যার কারণে প্রায়ই আত্মহত্যার চেষ্টা করতো সে, আর আজ বড় দূর্ঘটনা ঘটলো। আরোয়ার হোসেন সেনাবাহিনে চাকরি করতো, প্রায় ৬ বছর আগে সে অবসরে এস বাড়িতে একটি গরুর খামার করেছিল।