ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে। গত বুধবার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সড়কের ধারে এক হাজার তাল ও অন্যান্য গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোদা পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর সুলতানা বেগম, বোদা প্রামাণিকপাড়া আদশ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহদাদ হোসন, হাঙ্গার ফ্রি ওয়াল্ড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও বিসেফ ফাউন্ডেশন এর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মিটন, ইউসিবির শাখা ব্যবস্থাপকসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ। উদ্যোক্তরা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এ বছর সারাদেশে তালগাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কারণ উচ্চতা ও গঠনগত দিক থেকে তাল গাছ বজ্রপাত নিরোধে সহায়ক। এ ছাড়া তালগাছ ভূমিক্ষয়, ভূমিধস, ভূগর্ভস্থ পানির মজুত বৃদ্ধি ও মাটির উর্বরতা রক্ষা করে এবং মেঘ আকর্ষণ করে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এসব কারণে ইউসিবি তালগাছ রোপণের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে এ বছর কৃষিখাতে সহায়তা প্রদানমূলক প্রকল্প ‘ভরসার নতুন জানালা’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, উন্নত পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ এবং জলবায়ু সহিষ্ণু টেকসই কৃষির প্রসার ঘটানো। পাশাপাশি বৃক্ষ রোপণ করা। উল্লিখিত প্রকল্লের অধীনে সারাদেশে ৫০টি নির্বাচিত উপজেলাকে ’মডেল এলাকা’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চর, হাওর, উপকূল, সীমান্তবর্তী এলাকাসহ তুলনামূলকভাবে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা এসব ‘মডেল উপজেলা’-য় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রতি উপজেলায় এক হাজার করে সারাদেশে অন্তত ৫০ হাজার তাল বা স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে অন্যান্য গাছ রোপণ করা হবে। একইসঙ্গে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় বজ্রপাত নিরোধক ডিভাইস স্থাপন, কৃষি উদ্যোক্তাদের সংগঠিত করে ক্লাইমেট স্মার্ট/কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও যন্ত্রের ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান, কৃষকদের মাঝে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী (নিরাপত্তা চশমা, কীটনাশক প্রতিরোধী পোশাক ইত্যাদি) বিতরণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ,জৈব পদ্ধতির প্রয়োগে সহায়তা প্রদানসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। একইসঙ্গে দেশের ৬৪ জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে কুষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ-সংশ্লিষ্ট ২৫ জন করে কৃষি উদ্যোক্তাকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।