ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা মাষ্টারপাড়া এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে হত্যার শিকার হন মেহেদি হাসান (২৪)। ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পরেও এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি সাদ্দাম হোসেন কে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই রাত ১২ টার দিকে মেহেদি বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিল, এ সময় মামলার ১ নং আসামি সাদ্দাম হোসেন মোবাইল ফোনে মেহেদিকে তার বাসায় ডেকে আনে। মেহেদি বেশকিছু টাকা পাবে সাদ্দাম হোসেনের নিকট এ টাকা নিয়ে সাদ্দাম ও তার ভাই আকরামের সাথে গোলযোগ হয়। এক পর্যায় ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে মেহেদি কে কুপিয়ে হত্যা করে আকরাম ও সাদ্দামের বাড়ির মধ্যে। ঐ রাতেই আকরাম কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ও ১ নং আসামি সাদ্দাম পালিয়ে যায়। এ হত্যাকান্ডে নিহতের মা রাবেয়া খাতুন বাদি হয়ে ২ জনের নামে মামলা করে কালীগঞ্জ থানায়, মামলা নং ৮। সাদ্দাম ও আকরাম ফয়লা মাষ্টারপাড়া এলাকার তোফাজ্জেল হোসের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই হুমায়ুন গ্রেপ্তারকৃত আসামি আকরামকে ঝিনাইদহ জেলহাজতে প্রেরন করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে গত মঙ্গলবার তাকে কালীগঞ্জ থানায় আনা হয় ও জিঙ্গাসায় মেহেদি হত্যাকান্ডের অনেককিছু স্বিকার করেছে, শুক্রবার তাকে ঝিনাইদহ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মামলাটি তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সব কিছু বলতে পারছে না। পুলিশ সাদ্দামের বাড়ি থেকে যে ছুরি দিয়ে মেহেদিকে হত্যা করা হয় সেটি উদ্ধার করেছে। নিহতের পরিবার সাংবাদিকদের বলেন বেশকিছুদিন পার হলেও পুলিশ প্রধান আসামি সাদ্দাম কে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অপরদিকে সাদ্দাম শহরের আবুবক্কর মকছেদ আলী মহিলা আলীম মাদ্রাসার নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকরি করতো। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন সাদ্দাম অনুপস্থিত রয়েছে, উপরি মহল থেকে দাপ্তরিক চিঠি না পেলে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাবুবুর রহমান বলেন, মেহেদি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপর আসামীকে গ্রেপ্তার করার জোরচেষ্টা চলছে।