জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর মহানগর সভাপতি ও রংপুর জেলার আহ্বায়ক রসিক মেয়র আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, ইতিহাস বিকৃত করা যায় কিন্তু সঠিক ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যে ধরনের ডায়নামিক চিন্তাভাবনার নেতা ছিলেন সে ধরণের নেতা আর দেখা যাচ্ছেনা। আজকের নেতারা তারা সবাই আছেন তাদের আখের গোছানোর জন্য। কে ক্ষমতায় যাবেন, কে কাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবেন। এনিয়েই ব্যস্ত। দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য চিন্তা করতেন একমাত্র হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি প্রথমেই বলে ছিলেন ৬৮হাজার গ্রাম বাচলে বাংলাদেশ বাচবে।
শুক্রবার রংপুর মহানগরীর পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত দিনব্যাপী গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারী মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আমরা সবসময় দেখি নির্বাচন এলে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে একটা তামাশা করা হয়। জাতীয় পার্টির কিছু সুবিধাভূগী নেতা আছে তাদের সাবধান থাকতে হবে। জাতীয় পার্টি জোট মহাজোট কিংবা একক যেটাই সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করা যাবেনা, একটা ভুল যদি হয়ে যায়, একটা রাজনৈতিক দলের কবর হয়ে যায়। রাজনীতি একটা ভুল সিদ্ধান্ত একটা দলের কবর রচনা করার জন্য যথেষ্ট।
মোস্তফা বলেন, মানুষ তার কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকে। মানুষের জীবন যখন ক্ষণস্থায়ী, মানুষ বেঁচে থাকে ৬০, ৭০, ৮০ বছর। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আইয়ু ছিলো ৯৪বছর। মানুষের মৃত্যু হবে, ওই মানুষটা হাজার বছর বেঁচে থাকবে তার কর্মের মাঝে। যেমন বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন লাল সবুজের পতাকা, স্বাধীন ভূখন্ডের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি যেমন অমর হয়ে আছেন। ঠিক তদরুপভাবে আমাদের পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তিনি আমাদের ৬৮ হাজার গ্রাম বাচলে বাংলাদেশ বাচবে, তার উপজেলা প্রবর্তন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য নীতি, তার ওষুধ নীতি, বিদ্যুৎ বিল মৌকুফ, ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্র ধর্ম করা। তার এই বিষয়গুলো কিন্তু সাধারণ মানুষের মনিকোঠায় লিপিবদ্ধ আছে। তা মুছে ফেলা যাবেনা। ইতিহাস বিকৃত করা যায়, কিন্তু সঠিক ইতিহাাস মুছে ফেলা যাবে না। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যে ধরনের ডায়নামিক চিন্তাভাবনার নেতা ছিলেন সে ধরণের নেতা আর দেখা যাচ্ছেনা। আজকের নেতারা তারা সবাই আছেন তাদের আখের গোছানোর জন্য। কে ক্ষমতায় যাবেন, কে কাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবেন। এনিয়েই ব্যস্ত। দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য চিন্তা করতেন একমাত্র হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস.এম ইয়াসির।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল ইসলাম সেন্টু, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাপার সদস্য সচিব হাজী¡ মোঃ আবদুর রাজ্জাক, রংপুর মহানগর জাপার সহ-সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ জাহেদুল ইসলাম, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আমানত হোসেন আমানত, ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির নেতা মোঃ ফজলুর রহমান মৃর্ধা, আমিনুল হক সেলিম মাহাবুব।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জাপার যূগ্ম আহ্বায়ক শাফিউল ইসলাম শাফি, এ্যাড. মোকাম্মেল হক চৌধুরী, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর জেলার সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, সদর উপজেলা জাপার আহ্বায়ক মাসুদ নবী মুন্না, জাতীয় যুব সংহতি মহানগর সভাপতি শাহীন হোসেন জাকির, জাতীয় ছাত্র সমাজ রংপুর মহানগর সভাপতি ইয়াসির আরাফাত আসিফ, জাতীয় ছাত্র সমাজ রংপুর জেলার আহ্বায়ক মোঃ আরিফুল ইসলাম,, জাতীয় শ্রমিক পার্টি রংপুর মহানগর সভাপতি মোঃ রাজু আহমেদ ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি রংপুর জেলার সদস্য সচিব মাহাবুবর রহমান বেলাল।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির যূগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আজমল হোসেন লেবু, সদর উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি রংপুর মহানগর আহ্বায়ক মোঃ ফারুক মন্ডল, জাতীয় অটো শ্রমিক পার্টি রংপুর মহানগর সভাপতি মোঃ তসলিম উদ্দিন প্রধান উজ্জল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা মিলন, মহিলা পার্টি রংপুর মহানগর সদস্য সচিব জেসমিন আক্তারসহ রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি ও তার অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দরা। আলোচনা শেষে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশবাসির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৬টায় সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। বেলা ১১টায় দলের নেতা-কর্মীরা পল্লী নিবাসে এরশাদ কবর জিয়ারত ও পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে বাদ জুম্মা জাতীয় যুব সংহতি রংপুর মহানগর শাখা সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এবং জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি রংপুর মহানগর শাখা নগরীর কেরামতিয়া জামে মসজিদে দুস্তদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। কেরামতিয়া জামে মসজিদে বাদ জুম্মা অনুষ্ঠিত দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন খতিব মাও. মোঃ বায়েজিত হুসাইন।