তাঁদের কারোরই নেই কোনো গ্র্যান্ড স্লাম! তবে ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা অবশ্য আছে দুজনের। ২০১৯ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপার লড়াইয়ে অ্যাশলে বার্টির কাছে হেরে গিয়েছিলেন এবারের উইম্বলডনের চমক মারকেতা ভনদ্রোসোভা। উনস জাবেউরের দীর্ঘশ্বাস আরো ভারি। দুবার গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনাল খেলে দুবারই তাঁকে ফিরতে হয়েছে একরাশ হতাশা নিয়ে। এর মধ্যে গত বছর এই অল ইংল্যান্ড ক্লাবেও এলিনা রাইবাকিনার কাছে হেরেছিলেন তিনি। তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় গল্পটা কি অন্যভাবে লেখাতে পারবেন জাবেউর! শিরোপা জয়ের অভিন্ন স্বপ্ন বুকে নিয়ে সেন্টার কোর্টের সবুজ গালিচায় নামবেন ভনদ্রোসোভাও। আজ গ্র্যান্ড স্লামের আক্ষেপ যাঁরই ঘুচুক নতুন রানি পাবে উইম্বলডন। টেনিসের কোর্টে রূপকথার সময় কাটাচ্ছেন ভনদ্রোসোভা। ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম অবাছাই খেলোয়াড় হিসেবে পৌঁছেছেন উইম্বলডনে মেয়েদের এককের ফাইনালে। স্বপ্নীল এই পথচলায় শেষ ষোলোতে দুবারের চ্যাম্পিয়ন পেত্রা কেভিতোভা, শেষ আটে তৃতীয় বাছাই রাইবাকিনা এবং সেমিফাইনালে পিছিয়ে পড়েও হারিয়েছেন দ্বিতীয় বাছাই আরিয়ানা সাবালেঙ্কাকে। ২০১২ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে হারিয়েছেন শীর্ষ দশের তিন প্রতিদ্বন্দ্বীকে। তবুও বাজির দরে বাজিকরদের আজকের ফেভারিট জাবেউরই! কিন্তু ম্যাচটা ফাইনাল বলে নিজেকে একদম এগিয়ে রাখছেন না তিউনিশিয়ান তারকা, ‘ফাইনাল ফাইনালই। গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন কিংবা অন্য কেউ প্রতিপক্ষ হোক, ম্যাচটা কঠিনই হবে। কথাটা দুজনের জন্যই প্রযোজ্য। আবেগ যে বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে এবং যে কোর্টে বেশি তৈরি থাকবে সে-ই জিতবে।’ ভনদ্রোসোভাকে নিয়ে জাবেউরের এমন সমীহ করার যথেষ্ট কারণও আছে। চলতি বছরে চেক প্রজাতন্ত্রের এই প্রতিপক্ষের কাছে যে দু-দুবার হেরেছেন তিনি-অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে জয়ের পর মায়ামি ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে তাঁকে হারের তেতো স্বাদ দিয়েছিলেন ভনদ্রোসোভা। তৃতীয়বারও গল্পটা না বদলালে প্রথম আফ্রিকান আরব হিসেবে গ্র্যান্ড স্লাম জিততে না পারার আক্ষেপ আরো দীর্ঘই হবে জাবেউরের। ভনদ্রোসোভাও দারুণ আত্মপ্রত্যয়ী, ‘আমার জন্য অবিশ্বাস্য কিছু ঘটছে। যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে টেনিসে।’ পুরুষ এককে নবমবারের মতো ফাইনালে উঠেছেন নোভাক জোকোভিচ। সবমিলিয়ে রেকর্ড ৩৫তম বার গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে সার্বিয়ান তারকা। অল ইংল্যান্ড ক্লাবে রেকর্ড অষ্টম শিরোপা স্বপ্নে বিভোর জোকোভিচ সেমিফাইনালে ৩-০ সেটে হারিয়েছেন ইটালিয়ান ইয়ান্নিক সিন্নারকে।