কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ ও যশোর মহাসড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কের দু,পাশ থেকে গাছ কেটে নেওয়ার পর গর্তের সৃষ্টি ও সড়কের পাশে গাছের বড় বড় গুড়ি ফেলে রাখা হয়েছে।
ব্যস্ততম মহাসড়কের দুইপাশ দখল করে গাছের গুঁড়ি রেখে যানবাহনসহ জনচলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি করে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে ও দূর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে এমন ঘটনা ঘটেছে। এতে পায়ে হেঁটে মানুষ যাতায়াতসহ বাস,ট্রাক, ইজিবাইক, রিকশা, মটরসাইকেল চলাচলেও মারাত্নক বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। আশঙ্কা রয়েছে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। ঠিকাদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিকার পাঁচ্ছেন না ভুক্তভোগী যানবাহন। এ মহাসড়ক দিয়ে স্কুল কলেজগামী শত শত শিক্ষার্থী এবং দিন রাত ২৪ ঘন্টা হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। বিশাল বিশাল গাছ রাস্তার দুইপাশ দখল করে সারিবদ্ধ ভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে জনচলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
প্রায় সাত মাস মহাসড়কের ঝিনাইদহ অংশের ৩০ কিলোমিটার রাস্তাদিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল সর্বপ্রকার যানবাহন। এই অংশের মহাসড়ক ৪ বা ৬ লেনের রাস্তা সম্প্রসারনের জন্য পুরাতন গাছ কাটা হয়েছে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই অংশ দিয়ে চলাচলের সময় যানবাহন গর্তে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা দ্রুত গর্তগুলো ভরাটের দাবি জানিয়েছেন। আবার সড়কের উপরে ও পাশে যে বড় বড় গাছের গুড়ি রাখা হয়েছে তাতে করে চলাচল একবারেই করা যাচ্ছে না। গাছের গুড়ির কারণে দুটি যানবাহন সাইড দিতে গেলে ব্রেক করে আস্তে আস্তে যেতে হয়।
ঢাকাণ্ডখুলনা ভায়া ঝিনাইদহ মহাসড়কটি বৃদ্ধি করার কাজ শুরু হচ্ছে। ঢাকাণ্ডখুলনা মহাসড়কের ঝিনাইদহ থেকে যশোর চাচড়া মোড় পর্যন্ত সম্প্রসারন প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দিয়েছেন। এর মধ্যে ঝিনাইদহ অংশে রয়েছে ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ শেষপ্রান্ত ফুলবাড়ি পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়ক। ইতোমধ্যে এই সড়কের দুই পাশের জমি অধিগ্রহনের জন্য সিমানার জরিপ করা হয়েছে ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তর ফটো কপি নিয়েছেন। জমির মালিকরা বেশ আগ থেকেই জানতে পেরেছে তাদের বাসা বাড়ি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফাকা জমি কোন পর্যন্ত এ সড়কের মধ্যে যাবে। মহাসড়টি সম্প্রসারনের জন্য শুরু হয়েছে সড়কটির দুই ধারের ছোট-বড় গাছ কর্তন। সড়কের দু,পাশে বেশির ভাগ রয়েছে শতবর্ষী গাছ কর্তনের তালিকায়। মহাসড়কের পাশে কোন গাছ থাকছে না। ব্যস্ততম মহাসড়কের দুইপাশ দখল করে গাছের গুঁড়ি রেখে যানবাহনসহ জনচলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি করছেন প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে ও দূর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে এমন ঘটনা ঘটেছে। এতে পায়ে হেঁটে মানুষ যাতায়তসহ ইজিবাইক, রিকশা, মটরসাইকেল চলাচলে মারাত্নক বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। আশঙ্কা রয়েছে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার। ঠিকাদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিকার পাঁচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। এ মহাসড়ক দিয়ে স্কুল কলেজগামী শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে এমনকি মহাসড়কের পাশে রয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দিন রাত ২৪ ঘন্টা হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। সারা বাংলাদের সকল প্রকার যানবাহন এই মহাসড়কে দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে। শতবর্ষের বিশাল বিশাল গাছ রাস্তার দুইপাশ দখল করে সারিবদ্ধ ভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে জনচলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। সারা বাংলাদেশের একমাত্র যোগাযোগের প্রধান সড়ক এই সড়কটি, কিন্তু ঠিকাদারদের গাফলতির কারণে সড়কের পাশে যে ভাবে বড় বড় গাছের গুড়ি ও গর্ত করে রাখা হয়েছে তাতে করে চলাচলে মারাত্নক ঝুকিতে পরিনত হয়েছে। দূর্ঘটনায় মারাগেছে ও অনেকেই আহত হয়েছে, আবার দূঘৃটনা এড়াতে সড়কের পাশে গর্তের মধ্যে লাঠির মাথায় লাল কাপড়, শুকনা গাছের পাতা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ সড়কটি সম্প্রসারনের ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ ঝিনাইদহ অংশের ৩০ কিলোমিটারের গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে শত বছরের গাছগুলি বিক্রি করে দিয়েছে। ঝিনাইদহ থেকে যশোর অভিমুখি ফুলবাড়ি পর্যন্ত অসংখ্য গাছ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লোকজন কেটে ফেলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে গাছগুলো কাঁটার কাজ অব্যাহত রয়েছে। এসব গাছ কাটতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন সড়কের পাশে বড় বড় গর্ত খুড়ে রেখেছে। গর্ত খুঁড়ে গাছ কেটে গাছের গোড়া সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু গর্ত ভরাট করা হচ্ছে না ফলে রাস্তার মাটি ও পাকারাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। সড়কের পাশে খুঁড়ে রাখা গর্তগুলোতেই প্রায়ই বিভিন্ন যানবাহন পড়ে যাচ্ছে। সড়কের পাশে একটি গর্তে একজন বাইসাইকেল, মটরসাইকেল আরোহী পড়ে গুরুতর আহত হন এবং একজন সড়কের পাশে মটর সাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মোটা গাছের গুড়িতে ধাক্কা মেরে নিহত হয়। বিশেষ করে দুরপাল্লার যাত্রীবেশি বাস খাদে বা গাছের গুড়ির সাথে ধাক্কা লাগলে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রানহানির ঘটনা ঘটবে। বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা জানান, এই মহাসড়কের পাশে গাছের গুড়ি ও গর্ত থাকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত গাড়ি চালাতে হচ্ছে,বর্তমানে দূর্ঘটনার ভয়ে সড়ক থেকে গাড়ির চাকা মাটিতে নামানো যাচ্ছে না।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী কড়াই গাছগুলো রক্ষা করে ৬ লেন রাস্তা নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছিল ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল।
মানববন্ধনে ফওজুর রহমান সাবিত বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কের বৈশাখী তেলপাম্প থেকে মোবারকগঞ্জ চিনিকল পর্যন্ত এবং বৈশাখী তেল পাম্প থেকে ভুষণ সড়কের জনতা ব্যাংক মোড় পর্যন্ত প্রায় শতাধিক শতবর্ষী কড়ই গাছ রয়েছে। শতবর্ষী এই কড়ই গাছ গুলো কালীগঞ্জের ঐতিহ্য। দেশে বিদেশের অনেকেই এই কড়ই গাছ গুলো সম্পর্কে জানেন। তারা দাবি তোলেন, শুকনা এবং ঝুঁকিপুর্ণ গাছ ও ডাল কেটে জীবন্ত গাছ গুলো রেখে মহাসড়ক ৬ লেনে বৃদ্ধি করা হোক।
সরকারি ভাবে নিয়ম রয়েছে গাছের গুড়ি মহাসড়কের পাশে রাখা যাবে না ও গর্তগুলি মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা তাদের গাফলতির কারণে এসব নিয়ম মানছে না এমনকি সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক বিভাগের কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারণে তদারকি করছে না।