মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামে কাবিখা প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণ না করেই বরাদ্দের টাকা লোপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। ফলে রাস্তা না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার হাজারো মানুষকে ।
জানাগেছে, উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মানিক মিয়ার বাড়ি হতে হাবিব মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত ৫০০ মিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে স্থানীয় দুই ইউপি সদস্যকে ৮টন গম বরাদ্দ দেয় সরকার। ত্রান ও পূর্ণবাসনের মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওই স্থানে কাঁচা সড়ক মাটি ভরাট করে নির্মাণের জন্য ওই সমস্ত গম বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউপি নারী সদস্য জোসনা বেগমের অংশে মানিক মিয়ার বাড়ি হতে ২৫০ মিটার দেলোয়ার মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত ওই সড়কে মোটামুটি মাটি মাটি ভরাট করা হয়েছে। ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের বাকি অংশে রাস্তার কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই রাস্তাটির নির্ধারিত স্থানে যেখান দিয়ে রাস্তা যাওয়ার কথা ওই স্থানে দেখা যায় যে মানুষের রান্না ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। মানুষজন ঘরের চিপা চাপা দিয়া যাতায়াত করছে রাস্তার কোন অস্তিত্ব নাই। যে স্থান দিয়ে রাস্তা নির্মিত হওয়ার কথা সেই প্রস্তাবিত রাস্তার হাবিবুর রহমান মেম্বার এর বাড়ির সামনে রাস্তার দুপাশে দোকান ঘর,দিলু মিয়ার বাড়ির সামনে একচালা ঘর,মহাসিন এর বাড়ির সামনে গোয়াল ঘর, জহিরুল ইসলামের বাড়ির সামনে গোয়াল ঘর। আহমদ আলীর বাড়ির সামনে গোসলখানা, আজমিরের বাড়ির সামনে খড়ের পালা রয়েছে।
আহমদ আলী বলেন, তাদের বাড়ির সামনে রাস্তায় তারা নিজের টাকায় মাটির দিয়ে চলার উপযোগী করে তোলেন। যদি রাস্তাটি নির্মান হতো তাহলে ওই এলাকার কয়েক হাজার লোকের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারতো।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, যে স্থান দিয়ে রাস্তা হওয়ার কথা সে সব স্থানে মানুষের ঘরবাড়ি সহ বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। গ্রামবাসী স্থাপনা সরিয় দিচ্ছে না বলে আমি রাস্তা নির্মাণ করতে পারছি না।
তবে এলাকাবাসী বলেন, মেম্বারের বাড়ির সামনে মেম্বার নিজেই রাস্তার জন্য নির্ধারিত স্থানে দোকান ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছি। সে ইচ্ছে করে রাস্তা নির্মাণ করছে না নিজের দোকান ঘর সরিয়ে নিতে হবে বলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, মেম্বারের বাড়ির সামনেই রাস্তা দুপাশে দোকান। দোকান থাকায় ওই স্থান দিঢয়ে পর্যাপ্ত রাস্তা নাই। মেম্বারের বাড়ির সামনের রাস্তা মেম্বার ঠিক করে আসলেই আমরাতো এভাবেই রাস্তা ছেড়ে দিবো।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, যে স্থান দিয়ে রাস্তা হওয়ার কথা সে সব স্থানে মানুষের ঘরবাড়ি সহ বিভিন্ন স্থাপনা গ্রামবাসী সরিয় দিচ্ছে না বলে ইউপি সদস্য জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শনে যাবেন তিনি।