তেঁতুলিয়া উপজেলায় জমি আছে ঘর নাই আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর প্রদানের নামে টাকা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী দেবনগর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম ও হালিম উদ্দীন ঘর বরাদ্দ না পেয়ে চলতি মাসের ২ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, তেঁতুলিয়া বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগে জানা যায় ৭নং দেবনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা মোছাঃ তাহেরা বেগম তাদেরকে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার, তেঁতুলিয়া কর্তৃক তাকে ১২টি সরকারি ঘর বরাদ্দ দিয়েছে। সকল উপকারভোগী ঘরের মালামাল পরিবহনের জন্য টাকা দিয়েছে। তোমরা নিতে চাইলে মালামাল পরিবহনের জন্য ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। কয়েকদিন পর ইউপি সদস্যার স্বামী আঃ হাকিম তাদের কাছে টাকা চাইলে ভুক্তভোগীরা ছাগল বিক্রি সহ আত্মী-স্বজনের নিকট ধার-দেনা করে ২০ হাজার প্রদান করে। পরবর্তীতে ঘরের মালামাল না পৌছালে নানান অজুহাতে ইউপি সদস্যা ও তার স্বামী কালক্ষেপন করে। দীর্ঘ প্রায় ১ বছরের কোন ঘর বা মালামাল না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দেবনগর ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণা পূর্বক টাকা গ্রহণের অভিযোগ দিয়েছে।
এবিষয়ে মুঠোফোনে ৭নং দেবনগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যা তাহেরা বেগম ও তার স্বামী আঃ হাকিম এর নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছি অভিযোগটি সম্পুর্ন ভিত্তিহীন।
৭নং দেবনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সোলেমান আলীর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন, ইউপি সদস্যা তাহেরা বেগম টাকা নিয়েছে অভিযোগটি মিথ্যা। আমার কাছে পাথরের ব্যবসার লেন-দেনের টাকা পাবে ইউ’পি সদস্যার স্বামী অভিযোগ দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বললেন, দেবনগর ইউপি’র ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউ’পি সদস্যার বিরুদ্ধে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার বিষয়ে টাকা গ্রহণ একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে।