ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্টুডেন্ট’স অ্যাটিচিউড অন হুইসেলব্লোয়িং অ্যাওয়ারনেস, প্রোগ্রেস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যাট দ্য পাবলিক সেক্টরস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইএমকে সেন্টারের অর্থায়নে এই ওয়ার্কশপটি পরিচালিত হচ্ছে। সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় দিনব্যাপী এই ওয়ার্কশপের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরিনা খাতুন।
ওয়ার্কশপের অংশ হিসেবে হুইসেল ব্লোয়িং, ভার্চুয়াল হুইসেল ব্লোয়িং এবং হুইসেল ব্লোয়িংয়ের গুরুত্ব বিষয়ে আলোকপাত করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ফিরোজ আল মামুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নুরুল হুদা সাকিব প্রমুখ।
ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী সেশনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. বলেন, ‘আগামীতে দেশ তরুণরা নেতৃত্ব দিবে। তারা যদি সকল পরিস্থিতিতে অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে সব বাধা দূর করে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। হুইসেলব্লোয়িং প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয় যা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।’
ওয়ার্কশপের প্রকল্প পরিচালক ড. নুরুল হুদা সাকিব বলেন, 'ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দেবে তরুণরা। হুইসেলব্লোয়িং প্রোগ্রাম সম্পর্কে খুব কম তরুণই জানে। আমাদের এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে তরুণদেরকে এ সম্পর্কে জানাতে চাই এবং সুসংহত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে প্রতিবাদের প্রকৃত পদ্ধতি এবং তাদের সুরক্ষার জন্য যে আইন রয়েছে তা জানানোর মধ্য দিয়ে তরুণদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত হবে। এতে সমাজে বিদ্যমান অনিয়ম ও দুর্নীতির চর্চা কিছুটা হলেও দূরীভূত হবে বলে আশা রাখি।’
উল্লেখ্য, অধ্যাপক নুরুল হুদা সাকিব ইএমকে সেন্টারের অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ওয়ার্কশপটির আয়োজন করেছেন। গণ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস মোট ১২টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সম্পর্কিত ১২ টি ওয়ার্কশপ পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।