ভারতের পশ্চিমবঙ্গ শিলিগুড়ি ফুলবাড়ি এলাকায় ব্যবসায়ীদের মাঝে অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের কারণে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ আছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ক্রোন্দলের কারণে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কোন মালবাগী গাড়ী বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ইয়ার্ডে আসেনি এবং বাংলাদেশ থেকে কোন মালবাহী গাড়ী ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে যায়নি। গত ১১ জুলাই থেকে কোন আমদানি রপ্তানীর কোন মালবাহী গাড়ী প্রবেশ না করায় এখন শুণ্যতা বিরাজ করছে। কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রম সচল থাকা অবস্থায় প্রদিনই এই বন্দরে প্রায় সহ্রসাধিক ট্রাক ভারত-বাংলাদেশ থেকে আমদানী-রপ্তানীর মালামাল নিয়ে আসা-যাওয়া করত। তখন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের লোড-আনলোড শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা লেগে থাকত। কিন্তু গত ৫ দিন ধরে ফুলবাড়ি সীমান্তের ভারত, ভুটানের পাথর ব্যাবসায়ী ও ফুলবাড়ি ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে অভ্যান্তরীন দ্বন্দ্বের কারণে আমদানী-রপ্তানি বন্ধ থাকা বন্দরে শূণ্যতা বিরাজ করছে। এতে বন্দরে ব্যবসায়ী সিএনএফ ও কর্মমুখী শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছে। এ ছাড়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানায়, ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দর ট্রাক ওনার্স সমিতি আগে ভুটানের পাথর বোঝাই ট্রাকে শুধু মাত্র রুট টেক্স নিচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে পণ্য পারাপার চার্জ ফি বাবদ ভুটানের পাথর বোঝাই দশ চাকার ট্রাকে ৫ হাজার এবং ছয় চাকার ট্রাকে ৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত চাঁদা দাবি ভারতের ফুলবাড়ি বন্দরে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে ভারতীয় ট্রাকগুলোতে এ হারে টাকা আদায় না করায় ফুলবাড়ি স্থলবন্দর ট্রাক ওনার্স সমিতির সঙ্গে ব্যবসায়ীরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। যে কারণে ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দর ব্যবসায়ীরা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর বন্দর দিয়ে কোন প্রকার আমদানি রপ্তানি করছে না।
এব্যাপারে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর শ্রমিক সংগঠনের সাবেক সভাপতি আক্তারুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিন যাবৎ আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিঃ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত আলী মিয়া জানান, ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরের ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ব্যাবসায়ীদের মাঝে অভ্যন্তরিন দ্বন্দ্বের আমদানী-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলন জানান, ফুলবাড়ি ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ভারত-ভুটানের ব্যাবসায়ীদের মালামাল পারাপারে চার্জ ফি নিয়ে ভারতের ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ আছে। তবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু আছে। ভারতের ব্যবসায়ীদের কাছে শুনেছি দ্রুত বিষয়টি নিরসন হবে।