ভোলা দৌলতখানে একটি হত্যা চেষ্টার মামলায় ছয় বছরের শিশুকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ছয় বছরের শিশু শাকিলকে প্রধান আসামি করায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বাবার কোলে চড়ে আদালতে হাজিরা দেওয়ায় ঘটনাটি নিয়ে কৌতুহলীরও শেষ নেই। এমন ঘটনাটি ঘটেছে দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের দিদারুল্লা গ্রামে। শিশু শাকিল স্থানীয় খাদিজাতুল কুবরা নূরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। বাবা সাবেক সেনা সদস্য মো. মুখলেসুর রহমান। জন্ম সনদ অনুযায়ী শাকিলের বর্তমান বয়স ছয় বছর সাত মাস। মামলার এজাহারে তার বয়স দেওয়া হয়েছে বিশ বছর। সাবেক সেনা সদস্য মুখলেসুর রহমান জানায়, মামলার বাদী আবদুল মন্নানের সাথে আমাদের জমি জমার বিরোধ রয়েছে। বাদী পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে। তাই তারা মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে আমার শিশু সন্তান শাকিলকে মামলার প্রধান আসামি করে। মামলায় আমাকে আমার ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ বাবাকে, ঢাকায় চাকুরীরত ভাইকেও আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হচ্ছে শাকিলের বাবা মোখলেছুর রহমান, দাদা আবদুল খালেক, চাচা মাহে আলম, মা রুনু আকতার ও চাচী নাসিমা বেগম। মামলার বাদী মোখলেসুরের চাচা সম্পর্কীয় আবদুল মন্নান। বাদী ১১ এপ্রিল শাকিলকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে দৌলতখান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে জানা যায়, শিশু শাকিলের নেতৃত্বে আসামিরা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে পিটিয়ে আহত করে। নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। আদালত দৌলতখান থানাকে নারী দুই আসামিকে বাদ দিয়ে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে এফ আই এর নির্দেশ দেওয়ায় দৌলতখান থানায় ১৫ এপ্রিল একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালতে যায়। ১৮ এপ্রিল উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে তাদের চার সপ্তাহের জামিন দেন। শিশু শাকিলকে বাবার কোলে চড়ে ভোলা জোলা জজ আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এপর্যন্ত তিনবার হাজিরা দেয়া হয়েছে। মামলার বাদী আবদুল মন্নান বলেন, শিশু শাকিলের নাম ভুলবশত মামলায় লেখা হয়েছে। দৌলতখান থানা অফিসার ইনচার্জ সত্য রঞ্জন খাসকেল জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী থানায় মামলা নেয়া হয়েছে।