ষড় ঋতুর বাংলাদেশে আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস মিলে বর্ষাকাল। প্রকৃতির অঘোর নিয়মে আষাঢ় মাসের শুরু হতেই দেশে বৃষ্টিপাত শুরু হয় এবং শ্রাবণে এসে প্রকৃতি তাঁর চুড়ান্ত রুপ প্রদর্শন করে। তাই বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে টইটুম্বর হয়ে পড়ে গ্রামবাংলার মাঠ-ঘাট, নড়ী, জলাশয় ও খাঁড়ি। একসময় বর্ষাকালের নাম আসলেই এ ধরণের চিত্রই চোখের সামনে ভেসে উঠলেও প্রকৃতির রপ পরিবর্তনের কারণে বর্ষাকালে এ ধরণের চিত্র আর সচরাচর চোখে পড়ে না। বর্ষাকাল হলো কৃষকের আমন ধানের চারা রোপণের সময়। এ সময় কৃষক ও মজুরদের মাঠে মাঠে হাল চাষ, বীজতলা থেকে বীজ সংগ্রহ ও রোপণে ব্যস্ত সময় পার করার কথা। কিন্তু আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ দেখা দিলেও বৃষ্টিহীন নওগাঁর পত্নীতলাসহ আশেপাশের উপজেলার ফসলের মাঠ। মাঠে ধান রোপনের জন্য প্রয়োজনীয় পানি না থাকায় কৃষক ও মজুররা মাঠে নামতে পারছে না বলে অলস সময় পার করছে এবং চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে প্রকৃতির বৃষ্টিপাতের জন্য।
মঙ্গলবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ফাঁকা মাঠে চরছে গরু-ছাগল। মাঠে গরু চরানোর সময় কথা হয় ফহিমপুর গ্রামের কৃষক সাদেক উদ্দীনের সাথে। তিনি জানান, এ বছর তিনি ৬-৭বিঘা জমিতে আমন চারা রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু পানির অভাবে মাঠে নামতে পারছেন না। এদিকে বীজতলায় বড় যাচ্ছে যাচ্ছে ধানের বীজ। এ কারণে তিনি দুঃশ্চিন্তায় আছেন। আগামী ১ সম্পাহের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হলে বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে ধান লাগাতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।
চলতি আমন মৌসুমে পত্নীতলায় প্রায় ২৫হাজার ৩শত ৫০ হেক্টর জমিতে আমান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে।