হঠাৎ সিংড়ার চলনবিলাঞ্চলে গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তিন দিনে উপজেলার শুকাশ ইউনিয়নের বোয়ালিয়া একটি মাত্র গ্রামেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মোট ১৪ টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার প্রতিটি গ্রামেই গবাদি পশুর এই রোগে আক্রান্তর খবর পাওয়া গেছে। এতে খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) প্রতিরোধে গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণ, সচেতনতামূলক সভা ও চিকিৎসা কার্যক্রম জোরদার করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কে এম ইফতেখারুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি ট্রিম বোয়ালিয়া সেই গ্রামে যান। এবং খামারিদের মধ্যে লিফলেট ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ এবং চিকিৎসা পত্র প্রদান করেন। এর আগেও গত রোববার ও সোমবার ওই গ্রামে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কে এম ইফতেখারুল ইসলাম লাম্পিং স্কিন রোগের ভয়াবহতা বিস্তারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উপজেলার সাড়ে ৫ হাজার খামারে প্রায় ৩ লাখ গবাদি পশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুমের কারণে এই রোগের প্রাদর্ভাব বেড়েছে। খবর পেয়ে গ্রামে গ্রামে সচেতনতামূলক সভা, উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণ, ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প, ভ্যাকসিনেসন কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় ৭৫ হাজার গবাদি পশুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আরো অতিরিক্ত ৮ হাজার গরুর ভ্যাকসিন হাতে পাওয়া গেছে। বর্তমানে এই রোগের প্রাদুর্ভাব কমতেও শুরু করেছে। আর তাদের এই কার্যক্রম ছুটির দিনেও চলমান রাখা হয়েছে। আর গত এক সপ্তাহে প্রায় ৩১ টি গ্রামে সচেতনতামূলক প্রোগ্রামের পাশাপাশি ভ্যাকসিনেসন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
বোয়ালিয়া গ্রামের খামারি শ্রী পরিমল বলেন, এলাকার খামারিদের মাঝে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) এর কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। অনেকেই অল্প দামেই গরু বিক্রয়ও শুরু করেছিল। কিন্তু এখন গবাদি পশুর এলএসডি রোগের প্রতিষেধক টিকা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় খামারিদের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।