রংপুরের পীরগঞ্জে চলতি বছরের ১৫জুলাই অজ্ঞাত পরিচয়ের নবজাতকসহ মায়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মুলহোতা মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত সোমবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একটি চৌকস টিম গাজীপুর থেকে মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে। সে উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের মোনাইল গ্রামের সাহেব সরদারের ছেলে। উল্লেখ্য, ১৫ জুলাই উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের গাজী খাঁ গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে মতিয়ার রহমানের আখ ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত নবজাতকসহ মায়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অন্তসত্ত্বা নারীর অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে বিতর্কের কারণে কৌশলে নির্জনস্থানে নিয়ে ৬/৭ দিন পুর্বে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা থাকলেও লাশ পঁচে গলে পোকা ধরায় সনাক্ত সম্ভব হয়নি। পরে এসআই নজরুল বাদী হয়ে হত্যা মামলা রুজু হয়। পুলিশ জানায়,আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টসে চাকুরীর সুবাদে বগুড়া জেলার সদর উপজেলার ফাপর ইউনিয়নের চান্দাইল গ্রামের সাহেব আলীর মেয়ে শান্তনা বেগমের সাথে পরিচয় হয় মাসুদ রানার। প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠলে প্রায় ২ বছর ধরে ২জন মিলে একত্রে বসবাস করে। একপর্যায়ে সে অন্তঃসত্ত্ব্ হয়। দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকায় শান্তনা গত সপ্তাহে পীরগঞ্জে মাসুদ রানার বাড়িতে যায়। সেখানে মাসুদকে বিবাহিত দেখে ঢাকা ফিরে যায় সে। গত সপ্তাহের কোন এক দিনে মাসুদ পীরগঞ্জে ডেকে নিয়ে রাতের আঁধারে ওই স্থানে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার গর্ভপাত হয়ে গেলে সদ্য প্রসুত সন্তানকেও হত্যা করে সে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত আহসান হাবিব প্রিন্স জানান, ধৃত মাসুদরানাকে পুলিশের হেফাজতে নিতে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম তদন্তের কাজে নেমেছে।