ঢাকা-ধুলিয়া ও কালাইয়াগামী এমভি ঈগল-৪ নামের একটি যাত্রীবাহি দোতালা লঞ্চ থকে ৯ কেজি ৫শ গ্রাম গাঁজাসহ পটুয়াখালী সদর থানার জৈনকাঠি ইউনিয়নের কৌরাখালী গ্রামের রশিদ গাজির মেয়ে তানিয়া (২৪) ও বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কবিরকাঠি গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে হাসানকে (২৮) আটক করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই রাতেই বাউফলের কালাইয়া বন্দর থেকে মুনির(৩৮) নামের আরেক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। বুধবার (১৯ জুলাই) ভোর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে বাউফল সার্কেলের সিনিয়র এএসপি শাহেদ আহমেদ চৌধুরী ও বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটককৃত তানিয়া ও হাসান ফেনি জেলা থেকে গাঁজাগুলো বহন করে ঢাকা সদর ঘাট নিয়ে আসেন। সেখান থেকে সন্ধ্যায় তারা এমভি ঈগল-৪ নামের দোতালা লঞ্চের স্টাফ কেবিনযোগে গাঁজাগুলো বাউফলের কালাইয়া বন্দরে মদক ব্যবসায়ী মুনিরের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য রওনা হন। হাসানের স্বীকারোক্তি মতে, তিনি এর আগেও এ কাজ করেছেন এবং তানিয়া তার প্রেমিকা। অভিযান পরিচালনাকালে অন্যান্যের মধ্যে এস আই আবুল বশার, এ এস আই আবুয়াল, এ এস আই সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য দুলাল, ফুয়াদ, কামরুল,মনির ও ড্রাইভার ওয়াহেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ওই লঞ্চের যাত্রী বাউফল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক হারুন অর রশিদ খান অভিযানের লাইভ প্রচার করেন।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম আরিচুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘ আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে পটুয়াখালী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’