কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী ইউনিয়ন, গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নসহ আশে পাশের ইউনিয়নগুলির সরকারি নদী ও পুকুর থেকে অবাধে বালি উত্তোলন করছে একদল অসাধু বালু চক্রকারীরা। এসব অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী নেতা কর্মী ও পরিবেশ দূষনকারী চক্রদের কারণে অবাধে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। রহস্যজনক কারণে এই চক্রটিকে আইনের আওতায় আসছে না বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর-পোড়াদিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বড় ব্রিজের নিচে ১০০ থেকে ১৫০ গজ দূরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে এলাকার রুবেল মিয়া ও একটি প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া পশ্চিম গোবরিয়া গ্রামের মৃত মজলু মিয়ার ছেলে পুকুর মালিক রেনু মিয়া, লক্ষ্মীপুর মাতারকান্দাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় বালি উত্তোলনের ফলে এলাকার বাড়ীঘর ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। এই বিষয়ে এলাকার পথচারী মো: জজ মিয়া (৬০), ইব্রাহিম মিয়া (৬৫), ছাত্র রাকীব মিয়াসহ অসংখ্য এলাকাবাসীর দাবী লক্ষ্মীপুর মাতারকান্দা ব্রিজ সংলগ্ন সরকারি নদী থেকে বালি উত্তোলন করার ফলে তৎসংলগ্ন ধানি জমিগুলো ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আরও বলেন, নদী ও পুকুর থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ না হলে এই এলাকার সাধারণ জনগণের মারাত্মক হুমকির সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কুলিয়ারচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম রুনা এই প্রতিবেদককে বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি তিনি আইনানুগভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে উল্লেখ করেন।