আওয়ামীলীগের উন্নয়ন শোভাযাত্রা ও বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনার মামলা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর থানার এসআই মোহাম্মদ মিনহাজ বাদী হয়ে ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অনন্ত ৮শ জনকে এ মামলা আসামি করেন। এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশ মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাতভর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫ জনকে আটক করেছে।
এদিকে বিএনপি'র জ্বালাও পোড়াও সন্ত্রাস, ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আহত করার প্রতিবাদে জেলা শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। এ সময় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত বিএনপি নেতা কর্মীদের শাস্তির দাবি জানানো হয় সমাবেশে থেকে।
অন্যদিকে কোন প্রকার উস্কানি ছাড়াই সরকার দলীয় নেতা কর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও তাদের গাড়ি-বাড়ি ভাংচুর সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি। সকালে জেলা শহরের কলাবাগানস্থ বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাকর্মীরা এই অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতে তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের সামনেই বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর এই হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ডাকতে সাত - আটশ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় আসামি করেছে। যার মধ্যে মৃত ব্যক্তি সহ গণমাধ্যম কর্মীরাও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়। অন্যথায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাহিরে গিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি হরতাল অবরোধ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন শোভাযাত্রা ও বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পৌর শাপলা চত্তর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকলে পৌরসভা কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় দলের নেতাকর্মী, পথযাত্রী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টা হতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলতে থাকে এ সংঘর্ষ। পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ কয়েকটি টি আর সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রয়ে আনার চেষ্টা চালায়। এতেও থামানো যায়নি সংর্ঘষ। সংঘর্ষ চলাকালে শহরের দোকানপাট এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। পরে দুপুর ১২টার দিকে বিজিবি মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।