দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আগাম জাতের আমন ধানের চারা রোপন ব্যস্ত সময় পারকরছেন কৃষক-শ্রমিক। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আমন ধানের জমিতে চারা রোপন করছেন কৃষি শ্রমিকেরা। শুক্রবার উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের আমন চাষী সলেমান আলী জানান, তিনি এবার আগাম জাতের, ৭৫, ৯০ ও ৫১ জাতের ধানের আবাদ করেছেন ৮ বিঘা জমি। একই গ্রামের কৃষক হবিবর রহমান আবাদ করেছেন ৯০ ও কটরাপারী জাতের আগাম ধান লাগিয়েছেন ৩ একর জমিতে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে আমন ধানের মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৫ শত ৫০ হেক্টর জমি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। গত বছরের তুলনায় এবার আমন ধানের আবাদের খরচ বেড়ে যাবে। সার সহ বিভিন্ন কৃষি উপকরনের দাম বেশী তাই আমন আবাদে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে বলে কৃষকেরা জানান।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, আগাম জাতের আমন ধানের ধারা রোপনে সকল প্রকার সহযোগীতা করছে কৃষি বিভাগ। তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও ধানের ফলন বেড়েছে বাজারে ধানের দামও অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশী। এতে কৃষকেরা আমন চাষ করে লাভবান হবেন। মাঠ পর্যায়ে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাগণ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।