আগে কামার এর দোকান গুলোতে দৈনন্দিন ব্যবহৃত জিনিষপত্র যেমন দা, বটি, চাকু, ছুরি, কোদাল কাস্তে ইত্যাদি তৈরি করতে লোহার হাতুরী দিয়ে দীর্ঘ সময় পেটাতে হতো। এতে তাদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম হতো, সময়ও লাগতো প্রচুর। সেই পরিশ্রম ও সময় দুটোই বাঁচিয়ে বিদ্যুৎ চালিত হ্যামার তৈরি করে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছে ঘোড়াঘাট পৌরসভার আজাদ মোড়ের বিকাশ কর্মকার। পাশাপশি কাজের গতিও অনেকটা বড়েছে। সর্বত্রই যখন আধুনিকতার ছোঁয়া তখন পিছিয়ে নেই কামারশালাও। কয়লার বাতাস প্রবাহে হাতে টানা হাপর টানার পরিবর্তে কৈদ্যুতিক মোটর চালিত ফ্যানের সাহায্যে বাতাস প্রবাহ করে কয়লা উত্তপ্ত করা হচ্ছে। পাশাপশি বৈদ্যুতিক হ্যামার দিয়ে লোহা পিটিয়েজিনিশপত্র তৈরি করছে। এমনি এক আধুনিক কামারশালার মালিক ঘোড়াঘাটের বিকাশ কর্মকার। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখে এই আধুনক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করেন। পরে তিনি বৈদ্যুতিক হ্যামার তৈরি করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দেন। এখন আর তাকে হাত দ্বারা উত্তপ্ত লোহা পিটাতে হয়না। যে কারণে অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে বিভিন্ন জিনিশপত্র তৈরি করতে পারেন। এতে করে তার কাজের গতি ও আর্থিক স্বচ্ছলতা দুটোই হচ্ছে।