বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার এক সময়ে খরস্রােত সন্ধ্যা নদী পয়সারহাট ও বাগধা নামক স্থানের অবৈধ দখলদারা নদী দখন করে বালু দিয়ে ভরাটের কারণে আজ যেন বিবর্ন। সৌন্দার্য্য হারানোর পাশাপাশি হারিয়েছে খরস্রোত ও নাব্যতা। সন্ধ্যা নদীর পয়সারহাট বন্দর ও পয়সার হাট সেতুর দুই পাশেসহ বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালীরা দখর করে অবৈধভাবে বালু দিয়ে ভরাট করে পাকা স্থাপনা নির্মাণসহ ইট-বালুর ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নদী কমিশন নদী দখলদারদের তালিকা তৈরীর জন্য নির্দেশনা থাকলেও আগৈলঝাড়ায় সন্ধ্যা নদী দখলের তালিকা সম্পন্ন করলেও প্রশাসন তেমন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নদী দখলমুক্ত করে নদীর স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় জানা গেছে, সন্ধ্যা নদীর আগৈলঝাড়ার পয়সারহাট এলাকায় দুশত বছর পূর্বে গড়ে উঠা বরিশালের বৃহতম ব্যবসায়ী বন্দর ‘পয়সারহাট’। নদীর তীর ঘেষে দুই পাড়ে এখানে প্রায় সহস্রাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে পয়সারহাট-ঢাকা বড় লঞ্চ চলাচল করে আসছিল। নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় নয় বছর ধরে ঢাকাণ্ডপয়সারহাট লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। একসময় সন্ধ্যা নদী খুবই খরস্রােত ও বেশী গভীর ছিল সন্ধ্যার পয়সারহাট এলাকা এবং এ বন্দরটি দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়ী বন্দর। বর্তমানে দখলের কারণে সন্ধ্যা নদীর পয়সারহাট এলাকার প্রশস্ততা সংকুচিত হয়ে গেছে।প্রভাবশালী নদী ভরাট করে গড়ে তুলেছেন পাকা স্থাপনা, স্ব-মিল, ইট বালুর ব্যবসার মাঠ। প্রভাবশালীদের দখলের কারণে নদীটি আজ সৌন্দার্য্য, নদীর স্বাভাবিক গতি পথ। দখলদারদের মধ্যে রয়েছেন, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা গ্রামের মোজামল হোসেন বখতিয়ারে ছেলে বজলুল হক বখতিয়ার, একই এলাকার কাবুল সিকদার, সান্টু বখতিয়াল সহ অনেকে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত বজুলল হক বখতিয়ার বলেন, আমি আমার দলিল ও রেকর্ডিয় জমিভরাট করি তার সামনে সরকারি কিছু জায়গা আমার ব্যবহারে জন্য বালুদিয়ে ভরাট করতেছি। সন্ধ্যা নদীর জায়গা ভরাট করি না।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কাবুল সিকদার বলেন, আমি যে জায়গা ভরাট করছি তার নদী না। এক বছর পূর্বে উপজেলার বাগধা গ্রামের মমিনউদ্দিন ভাট্টির ছেলে আবদুল হক ভাট্টি গং দের কাছ থেকে আমার স্ত্রী হীরু বেগমের নামে ২৯ শতাংশ জায়গা দলিল করি নদীর পাড়ে।সরকারি অল্পকিছু রাস্তার পাসে বাকিটা দলিলের আমরা সন্ধ্যা নদী দখল করিনাই।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া উজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বনিন জানান, আমি অভিযুক্তদের কাগজপত্র নিয়ে অফিসে আসতে বলেছি। সারর্ভেয়ার ও তহশিলদারকে শিমানা নিরধাররেন জন্য বলেছি। নদীর জায়গা দখল করা হলে তার উচ্ছেদ করে দখল মুক্তকরা হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়া হোসেন জানান, সরকারি সম্পতি ও নদী দখলকরে বালু দিয়ে ভরাট করলে তা উচ্ছেদ করা হবে, সে যেই হোক না কেনো। তার বিরুদ্ধে আইন-আনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।