শেরপুরের ঝিনাইগাতীর ঐতিহ্যবাহী মহারশী খরস্রােতা নদী এখন মৎস্য শূন্য খাল। বেদখল হয়ে গেছে নদীর দুপাড়ের শত, শত একর জমি। নদীটি হয়েছে এখন অস্তিত্ব সংকটে। ফলে গোটা ঝিনাইগাতী হয়ে পড়েছে মৎস্য শূন্য। শেরপুরের গাড়ো পাহাড়ের নদী- নালা, খাল-বিল বলা হতো মৎস্য ভান্ডার। কিন্তু কালের বিবর্তনে মহারশীসহ আশেপাশের নদণ্ডনদী ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে নদী শুকিয়ে যাওয়া এবং নানারকম প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়েছে ফলে বাজারে মিলছেনা নানা প্রজাতি দেশি-বিদেশী মাছগুলো। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পর্যাপ্ত বৃিষ্টপাত না থাকা নাব্যতা কমে যাওয়ায় মহারশী নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। অথচ দেড় দশক আগেও ভাটি এলাকার লোকজন এই নদী পথে পালতোলা নৌকা দিয়ে ঝিনাইগাতী বাজারে যাতায়াত করত। এলাকার শতবর্ষী ডা:আব্দুল বারী, আলহাজ্ব শরীফ উদ্দিন সরকার ও আলহাজ্ব সরোয়ার্দী দুদু জানান, সাধারণত মে-জুনে মাছের ডিম ছাড়ত তারপর জুলাই-আগস্ট ডিম থেকে পোনা হতো। কিন্তু বর্তমানে বলতে গেলে জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত বৃষ্টি হয় না। জলবায়ু বিবর্তনের কারণে তাপমাত্রার জন্য মাছের পেটেই ডিম নষ্ট হয়ে যায়। প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে বয়ে আসা এই মহারশী নদী। প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর তলদেশ বালু দ্বারা ভরাট হচ্ছে। নদীর তলদেশ উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা শূন্য কোটায় নেমে এসেছে। বর্তমানে মহারশী নদীর দুপাড়ের ফসলি জমি পানির জন্য ইরি-বোরো ফসলি চাষে হিমসিম চাষাবাদ। এরি প্রেক্ষিতিতে উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবীদ হুমায়ুন বলেন, স্বার্থ বিবেচনায় নদীটি খনন করতে পারলে কৃষকের অনেক উপকার হবে। নচেৎ পানির কারণে বোরো চাষ ব্যাহত হতে পারে।