বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে দুই দিনে ১০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। গত এক মাসে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ জন ডেঙ্গু ক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। ২১ জন ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, গত শনি ও রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে উপজেলায় গৈলা গ্রামের রাব্বি মোল্লা (১৭) বাসাইল গ্রামের মায়া বেগম (৩৫), রাংতা গ্রামের রেদওয়ান ইসলাম (১৭), বাকাল গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম (৪০), শাহআলম (৫৫), মুনমুন আক্তার (২১), যবসেন গ্রামের শিশু তাহাসিন ইসলাম (২), নগরবাড়ি গ্রামের শিশু আনাজ আব্দুল্লাহ (৪), গোয়াইল গ্রামের শিশু আবির বেপারী (২), ও দক্ষিণ গৈলা গ্রামের সেকেন্দার আলী (৭০)।
ডেঙ্গু আক্রান্ত বাকাল গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বাড়ির আশপাশে মশার উপদ্রব আগের থেকে অনেক বেড়েছে। হঠাৎ করে জ¦র আসলে চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা করলেই ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ছে।
মুনমুন আক্তার বলেন, শরিরে জ¦র জ¦র ছিলো দুদিন তারপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের কাছে আসলে রক্তপরীক্ষা করলে ডেঙ্গু ধরা পারে। তার পারে ডাক্তারে পরার্মশে হাসপাতালে ভর্তি হই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বক্তিয়ার আল মামুন বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জমানো পানি পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে করে ডেঙ্গু বিস্তার করতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু রোগীর মূল লক্ষণ হলো, তীব্র জ¦র, মাথা, শরীর এবং হাড়ে ব্যাথা থাকবে। লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।