পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মাগুরা কলেজ ছাত্রলীগ নেতার রাব্বির ছোট ভাই সাব্বির হোসেন (১৬) নামে এক যুবক নবগঙ্গা নদীতে ডুবে নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে মাগুরা নিজনান্দুয়ালী গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। নিহতের লাশ নদী থেকে স্থানীয়রা তুলার পর উত্তেজিত জনতা পুলিশের টহল গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় যুবক জাহিদ জানান, নিহত সাব্বিরসহ কয়েজ জন মোবাইলে লুডু খেল ছিলো। পুলিশ ওদেরকে ধরতে ধাওয়া করলে তারা নদীতে ঝাঁপ দেয়। অন্যরা সাতরিয়ে উঠতে পারলেও সাব্বির ডুবে যাওয়ার আগে পুলিশকে বাচাঁতে বারবার অনুরোধ করলেও পুলিশ সাহায্য করেনি। পরে দির্ঘ্য ৪ ঘন্টা পর তার মৃতদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
নিহতের বোন মাম্মি খাতুন মিম অভিযোগ করেন, তার ভাই সাব্বির কোন নেশা করে না। পুলিশ গাজাঁ খোরদের ধরতে গিয়ে তার সাতার না জানা ভাইকে মেরে ফেলেছে।
পুলিশের গাড়ী ভাংচুর মামলার ভয়ে নিহতের ভাই সরকারী হোসেন শহীদ সোহওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাব্বি পুলিশের সাথে সমোজতা করে মামলা না করা শর্তে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত দিয়ে লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই জানাযা শেষে নিজনান্দুয়ালী গোরস্থানে দাফন করেছে।
মাগুরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশিষ কর্মকার জানান, শনিবার রাত আটটার দিকে ত্রিপল নাইন থেকে ফোনে অভিযোগ আসে শহরের নিজনান্দুয়ালী চরপাড়ার নদীর পাড়ে কিছু যুকব মাদক সেবন করছে।
সদর থানার টহল পুলিশ এসআই আবুল কালামের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে ঐ যুবকরা দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করে এবং কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দেয়। সে সময় দৌড়ে পালাবার সময় ফাহিম শেখ নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। আটককৃত ফাইম মাগুরা পৌর এলাকার নিজ নান্দুয়ালী গ্রামের বজলু শেখের ছেলে।